সামাজিক দূরত্ব বিধি উধাও। তমলুকে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের বিভিন্ন সভা-কর্মসূচিতে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ জেলায় বহুবার উঠেছে। পিছিয়ে নেই বিরোধী দল বিজেপিও।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগে শুক্রবার গণতন্ত্র বাঁচানোর কর্মসূচি ছিল বিজেপি’র। সমস্ত মহকুমাশাসক এবং ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকেরা। সেই মতো তমলুক মহকুমাশাসকের অফিস, পাঁশকুড়া নন্দীগ্রাম-১, ভগবানপুর-১ প্রভৃতি ব্লক অফিসে বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু কোথাওই করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
তমলুক মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে কর্মসূচিতে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক, সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডলেরা। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য তমলুক, ময়না, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক থেকে ট্রেকারে করে এসে হাসপাতাল মোড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত করেন। পরে মিছিল করে তাঁরা জেলা প্রশাসনিক অফিসের দিকে যান। সেই মিছিলে ছিলেন হাজারখানেক মানুষ। তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বিধি মানার কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায়নি। একই ছবি দেখা গিয়েছে জেলার অন্য বিক্ষোভ কর্মসূচির জায়গাতেও। এ দিন পশ্চিম পাঁশকুড়া বিধানসভা বিজেপি’র উদ্যোগে পাঁশকুড়া শহরে একটি মিছিল হয়েছে। মিছিল শেষ হয় পাঁশকুড়া বিডিও অফিসের সামনে। সেখানে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।
যদিও করোনার সতর্কতামূলক সামাজিক দূরত্ববিধি ভেঙে জমায়েত ও মিছিলের অভিযোগ মানতে চাননি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি’র জেলা (তমলুক) সভাপতি নবারুণের দাবি, ‘‘তমলুক শহর ও বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা কর্মী সমর্থকেরা সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই জমায়েত করেছিলেন। করোনা সতর্কতাবিধি মেনেই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।’’ তবে ছবি বলছে অন্য কথা।
বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির এড়াতে সতর্ক ছিল পুলিশ। জেলা সদর তমলুকে জেলাপ্রশাসনিক অফিসের চত্বরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া, সাধারণ পোশাকেও পুলিশের নজরদারি ছিল। বিজেপি’র কর্মসূচি পালনে জমায়েত এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এবিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’’