এই পিলার তৈরি ঘিরেই বিতর্ক নিজস্ব চিত্র
নয়ানজুলি ভরাট করে কনভেয়ার বেল্টের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের বিরুদ্ধে। এতে বর্ষাকালে এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়েরা। তাঁরা পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিলেন পুরপ্রশাসক তথা হলদিয়া মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকেও পুরসভাতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের তরফে হলদিয়া বন্দর থেকে কারখানা পর্যন্ত কনভেয়ার বেল্ট তৈরির কাজ চলছে। ওই বেল্টের মাধ্যমে বন্দর থেকে সরাসরি কয়লা পৌঁছে যাবে কারখানায়। ওই কাজ করতে গিয়ে পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নয়ানজুলির কিছুটা অংশ ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, অতিবৃষ্টিতে ওই ওয়ার্ডের বৈষ্ণবচক, চিরঞ্জীবপুর, কিশোরপুর এলাকা জলমগ্ন হয়। তখন ওই নয়নজুলি দিয়ে জমা জল বেরিয়ে যেতে সুবিধা হয়। এছাড়া, নয়নজুলিটি দিয়ে একাধিক এলাকার জল গ্রীন চ্যানেলের মাধ্যমে নদীতে পড়ে।
নয়ানজুলিটির বেশ কিছুটা অংশ ভরাট করে কনভেয়ার বেল্টের জন্য কংক্রিটের পিলার তৈরির কাজ করছে। ফলে নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে যাবে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের তরফে হলদিয়া পুরসভায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। তৃণমূলের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জ্যোতিপ্রসাদ দাস বলেন, ‘‘ওই নয়ানজুলিটি বন্ধ করে দেওয়া হলে এই ওয়ার্ড তো বটেই, আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম ও জলমগ্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাধ্য হয়ে হলদিয়া পুরসভার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, অভিযোগ পাওয়ার পরে মঙ্গলবার প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার এবং পুরকর্মীরা। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে আগামী শুক্রবার পেট্রোকেমিক্যালস কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছে। হলদিয়ার পুরপ্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার হলদিয়া পেট্রোক্যামিকেলস কর্তৃপক্ষকে পুরসভাতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।’’
যদিও ওই অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি পেট্রোকেমিক্যালস কর্তৃপক্ষের তরফে। তাঁদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা। তবে যে এলাকা দিয়ে ওই বেল্ট গিয়েছে এবং পিলার তৈরি হচ্ছে, তার কিছু অংশ বন্দরেরও রয়েছে। তবে হলদিয়া বন্দর সূত্রের খবর, বন্দর থেকে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস কারখানা পর্যন্ত কনভেয়ার বেল্ট তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে নয়নজুলি ভরাট করার অনুমতি নেওয়া হয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে।