বিতর্কিত সেই লিফলেট। নিজস্ব চিত্র।
ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রচার শুরু তৃণমূলের। লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে ফের জল ঘোলা নন্দীগ্রামে। যাকে ‘রোজকার নাটক’ বলে কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও ঘোষণা হয়নি পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। তার আগেই রীতিমত লিফলেট বিলি করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের এক স্বঘোষিত প্রার্থী। শুক্রবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর বুথে এই অভিযোগ উঠেছে। ‘৭১ নম্বরে নাজিরা বিবিকে চাই’ লিখে তৃণমূলের প্রতীক সহ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হাফিজুলের ফোন নম্বর দেওয়া একটি লিফলেট বিলি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নাজিরা বিবির স্বামী এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। শুক্রবার সকালে তিনিই এলাকার মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ওই লিফলেট দিয়ে এসেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। সামনে পঞ্চায়েত ভোটে যাতে তাঁর স্ত্রীকেই দলের প্রার্থী করা হয় সে জন্য দাবি তোলার অনুরোধও করেছেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘‘শুক্রবার সকালে হাফিজুল বাড়িতে এসে ওই লিফলেট দিয়ে গিয়েছে আমাকে। আমি ভোট দেরি আছে জানালেও হাফিজুল জানায় তাঁর স্ত্রী এ বার ভোটে দাঁড়াবে। তাই সে এমন প্রচার করছে। আমাদের এলাকায় অনেকের বাড়িতেই প্রচার করেছে।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাফিজুল। তাঁর দাবি, ‘‘আমি কারও বাড়িতেই যাইনি। হয়তো স্থানীয় কোনও অনুরাগী অতি উৎসাহে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। আমার বিষয়টি জানা নেই।’’
তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘‘তৃণমূল একটা শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়নের সঙ্গী হতে চাইছে। দলের তরফেও ওই কর্মীকে ডেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’’
বিষয়টি নিয়ে যথারীতি কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাছে যে কোনও পদ মানেই টাকা। সে জন্য কে আগে পদ বাগিয়ে নিতে পারে তার জন্য নিজেদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। কারণ, যে আগে পদ পাবে কাটমানিতে বখরা তারই বেশি থাকবে। এগুলো তৃণমূলের রোজকার নাটক। নন্দীগ্রামের মানুষ এ সব জানে।’’