ফাইল চিত্র।
এতদিন মাঠে দেখা গিয়েছিল ‘দাদার অনুগামী’দের। এ বার পাল্টা। পূর্ব মেদিনীপুরের মতো পশ্চিমেও সমাজমাধ্যমে সক্রিয় হচ্ছেন ‘দিদির অনুগামীরা।দলহীন জনসংযোগে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী। 'আমরা দাদার অনুগামী' নাম নিয়ে সামনে এসে কর্মসূচি নিয়েছেন অনেকেই। এতে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। সেই চর্চায় পাল্টা হিসেবে যোগ হল 'আমরা দিদির অনুগামী'। সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামে জোর প্রচার।
শুভেন্দুকেই তাঁর অনুগামীরা মুক্তি সূর্য বললেও ‘দিদির অনুগামী’দের নতুন শ্লোগান, আমার একটাই নেত্রী, বাংলার একটাই জননেত্রী, বাংলার একটাই মুক্তি সূর্য। শুভেন্দুর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের এই প্রবণতা শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার তা এল পশ্চিমেও। বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনুগামীদের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, তৃণমূলে যত অনুগামীদের লড়াই বাড়বে ততই বিধানসভার ভোটে তার প্রভাব পড়বে।
বেলদার এক বাসিন্দা, তৃণমূল সমর্থক সমাজমাধ্যমে 'দিদির অনুগামী' পোস্টার আপলোড করেছেন। সেখানে দিদির সমর্থনে মন্তব্যের পাশাপাশি ‘দাদা কোথায়?’ এমন প্রশ্নের খোঁচাও এসেছে। কিন্তু এই ‘দিদির অনুগামী’র নেপথ্যে কারা রয়েছেন?
তৃণমূল সূত্রের খবর, গত ২০ অক্টোবর বেলদাতে রাজ্য যুব সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে মিছিল হয়েছিল। সেখানে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না। শাসকদলের অন্দরের খবর, ২০ অক্টোবরের মিছিলের উদ্যোক্তাদের কয়েকজনই সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ‘দিদির অনুগামী’ নামের এই পোস্টার সামনে এনেছেন।
তৃণমূলের এমন সমান্তরাল দুই অবস্থানের বিরুদ্ধে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য গৌরীশঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘তৃণমূলের সমান্তরাল তিনটি অবস্থান। দুই দাদা (শুভেন্দু, অভিষেক) ও মমতা দিদি। তৃণমূল মানেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর তৃণমূল মানেই অনুগামীদের লড়াই।’’