—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কেন দেরি হচ্ছে, কত দেরি হবে, জল্পনা চলছিল। অবশেষে অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর টাকা।
সাধারণত, প্রতি মাসের গোড়ায় ৪-৬ তারিখের মধ্যেই এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যায়। চলতি সেপ্টেম্বরে অবশ্য দেরি হচ্ছিল। আর জি কর কাণ্ডের মহিলাদের প্রতিবাদের মধ্যে এই দেরি ঘিরে নানা মহলে চর্চাও শুরু হয়েছিল। চিন্তায় পড়েছিলেন একাংশ ‘লক্ষ্মী’। ক’দিন দেরিতে হলেও অবশ্য পশ্চিম মেদিনীপুরে ওই প্রকল্পের টাকা পৌঁছেছে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। তিনি আরও জানান, ‘‘শুনেছি এই প্রকল্পের নতুন উপভোক্তাদের পুজোর পর টাকা দেওয়া হতে পারে।’’
সূত্রের খবর, চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে টাকা ছাড়া শুরু হয়েছে। কেশপুরের শিখা ঘোষ মানছেন, ‘‘দিন দুয়েক আগেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেয়েছি সামনের মাসে পুজো। টাকাটা পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের উপভোক্তা প্রায় ১২ লক্ষ ৬০০জন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘টাকা অনেক উপভোক্তাই পেয়ে গিয়েছেন। কেউ না পেয়ে থাকলে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যাবেন।’’
বছর দুয়েক আগেও জেলায় এই প্রকল্পের উপভোক্তা ছিল প্রায় ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮০০। পরে নতুন করে আরও তিন লক্ষাধিক মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেন। এত সংখ্যক উপভোক্তা, সকলে সময়ে টাকা পান? জেলা প্রশাসনের ওই আধিকারিকের জবাব, ‘‘অ্যাকাউন্ট নম্বরে গোলমাল থেকে নানা কারণে কিছুজনের টাকা পেতে সমস্যা হয় কখনও সখনও। তখন ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হয়।’’রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, তৃণমূলকে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরতে সাহায্য করেছে এই প্রকল্প। ২০২১ সালে রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগেই ভোট প্রচারে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।