প্রতীকী ছবি।
স্বাধীনতার আগে তৈরি হওয়া ঝাড়গ্রামের বাছুরডোবা এলাকার ননীবালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভাব-অভিযোগ বিস্তর। সীমিত সামর্থ্য দিয়ে এর মধ্যেই স্কুলের উত্তরণের স্বপ্ন দেখেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শিক্ষকেরা নিজেদের উদ্যোগেই স্কুল প্রাঙ্গণে গড়ে তুলেছেন মুক্তমঞ্চ। আজ, মঙ্গলবার স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা তথা স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া মহাদেব মাহাতো এই মুক্তমঞ্চের উদ্বোধন করবেন। তারপরে মূল্যবোধের নাটক মঞ্চস্থ করবে পড়ুয়ারা। নাটকের পাশাপাশি পড়ুয়াদের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনীও হবে। প্রকাশিত হবে খুদেদের আঁকায়-লেখায় সমৃদ্ধ একটি দেওয়াল পত্রিকা।
প্রায় ৭০ বছর পার করা এই স্কুলে নেই-এর তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। স্কুলে এখনও প্রাচীর নেই। বিশাল প্রাঙ্গণে নেই শিশুদের খেলাধুলো ও বিনোদনের সরঞ্জাম। নানা অভিযোগ সত্ত্বেও স্কুলের মানোন্নয়নের কাজ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন টিচার ইনচার্জ স্নিগ্ধা পট্টনায়ক ও তাঁর সহকর্মীরা। তখনই স্কুল প্রাঙ্গণের একটি অশ্বত্থ গাছের তলায় পড়াশোনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মুক্তমঞ্চ গড়ার কথা তাঁদের মাথায় আসে।
মুক্তমঞ্চ তৈরির জন্য সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঞ্চ বানানোর কাজও সম্পূর্ণ। মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৃজন’। ওই মঞ্চেই স্কুলের সহশিক্ষক বিভাস রানার লেখা ‘আমরাও পারি’ নাটক মঞ্চস্থ করবে পড়ুয়ারা। স্কুলের খুদেপড়ুয়া প্রিয়াঙ্কা, ইন্দ্রজিৎ, বীরবুরু, শবনম-রা অভিনয় করবে নাটকে।
টিচার ইনচার্জ স্নিগ্ধাদেবী বলেন, “সরকারি সাহায্য পেলে কাজ হবে, এমন মানসিকতায় আমি ও আমার সহকর্মীরা বিশ্বাসী নই। সীমিত সাধ্যের মধ্যে আমরা এই স্কুল চত্বরেই সমাজসেবার কাজ করে চলেছি।” ঝাড়গ্রাম পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রকাশ সরকার বলেন, “এই স্কুলের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”