বিকল হয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের একমাত্র শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি। ফলে, শবদাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শ্মশানযাত্রীদের। চুল্লি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)। টানা কয়েকদিন ধরে বিকল হয়ে থাকলেও এমকেডিএ কর্তৃপক্ষ চুল্লি মেরামতের কোনও ব্যবস্থা করেননি বলে অভিযোগ। কেন? সদুত্তর এড়িয়ে এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “বৃহস্পতিবারই চুল্লি মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।” তিনি আরও জানান, মেরামতের পরে এ দিন পরীক্ষামূলক ভাবে চুল্লি চালানোও হয়েছে।
শহরের পদ্মাবতী শ্মশানঘাটে দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। তবে ২০১৩ সালের মার্চ থেকে একটি চুল্লিই চালু রয়েছে। মেদিনীপুরে চুল্লিতে দিনে গড়ে ২-৩টি দেহ দাহ হয়। ফলে, এমনিতে সমস্যা হয় না। এ দিকে, অন্য চুল্লিটি প্রথম থেকে ব্যবহার না হওয়ায় আগেই বিকল হয়েছে। তাই এখন চালু চুল্লি অকেজো হওয়ায় সঙ্কট সামাল দেওয়ার বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই পদ্মাবতী শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিটি বিকল হয়ে পড়ে। অবশ্য এই প্রথম নয়। আগেও চুল্লি বিকল হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। দু’-তিনদিন পর্যন্ত চুল্লি বন্ধ থেকেছে। ফের সেই একই ঘটনা।
প্রথমে শবদেহ দাহ করার জন্য ফি হিসেবে নেওয়া হত ১,২৫০ টাকা। পরে ফি বেড়ে ২ হাজার টাকা হয়। ফি বাড়ানো নিয়ে কম চাপানউতোর হয়নি। পুরসভার অবশ্য বক্তব্য ছিল, এমকেডিএ এই চুল্লি দেখভাল করে। সব দিক খতিয়ে দেখে ফি তারাই বাড়িয়েছে। আর এমকেডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, প্রচুর বিদ্যুৎ বিল আসে। আয়ের থেকে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছিল। তাই ফি বাড়ানো হয়েছে। এমকেডিএ- র এক সূত্রের দাবি, মাসে যেখানে ৬০ হাজার টাকা আয় হচ্ছিল, সেখানে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল মেটাতে চলে যাচ্ছিল। তাই ফি বাড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না।
ফি বাড়ানোর পরেও নিয়মিত চুল্লি দেখভাল না-করায় মাঝেমধ্যে তা বিকল হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ। এমকেডিএ-র এক কর্তার অবশ্য দাবি, “চুল্লি নিয়মিতই দেখভাল করা হয়। তবে যান্ত্রিক গোলযোগ হলে কিছু করার থাকে না।”