এক প্রসূতির সদ্যোজাত শিশু বদলে দিয়ে মৃত শিশু দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগকে ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসে পুলিশ। শুক্রবার হাসপাতালের সুপার ও ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন প্রসূতির স্বামী।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের দক্ষিণ রগড়া গ্রামের স্বপন মান্নার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাবিত্রী মান্নাকে বুধবার বিকেলে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে সাবিত্রীদেবীর স্বাভাবিক প্রসবের সময় শিশুটির গলায় নাড়ি পেঁচিয়ে যায়। প্রসবের পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শিশুটিকে এসএনসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু শিশুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে নারাজ সাবিত্রীদেবীর স্বামী ও পরিজনরা।
সাবিত্রীদেবীর স্বামী স্বপন মান্নার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর স্ত্রীকে লেবার রুমে ঢোকানো হয়। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ জানানো হয়, সাবিত্রীদেবীর স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। মা ও শিশু ভাল আছে। স্বপনবাবুর বৌদি নবজাতিকাকে দেখেও আসেন। রাতে লেবার রুম থেকে সদ্যোজাত শিশু কোলে এক নার্সকে একতলায় নেমে যেতে দেখেন স্বপনবাবুরা। পরে নার্স ফিরে এলে স্বপনবাবুরা জানতে চান, ওই শিশুটি কার। তাদের শিশুটি কোথায়? স্বপনবাবুর দাবি, নার্স কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই নার্স জানান, সাবিত্রীদেবীর শিশুকন্যাটি অসুস্থ। শিশুটিকে দোতলায় এসএনসিইউতে রাখা হয়েছে। পরে এনএনসিইউতে গিয়ে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান স্বপনবাবুরা। স্বপনবাবুর অভিযোগ, তাঁর সন্তান বদলে অন্যের মৃত সদ্যোজাতকে দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ অশ্বিনী মাঝি বলেন, “তিন সদস্যের কমিটি গড়ে অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। শিশু বদলের অভিযোগ সঠিক নয়।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দোতলায় লেবার রুমে স্বাভাবিক প্রসব হয়। একতলায় সিজারিয়ান সেকশন। একতলায় সিজার করে প্রসব হওয়ার পরে এক প্রসূতির সদ্যোজাতকে দোতলায় লেবার রুমে নথিভুক্ত করিয়ে ফের একতলায় মায়ের কাছে দিতে যাচ্ছিলেন ওই নার্স। স্বপনবাবুরা ভুল বুঝেছিলেন।