Selling liquor without License

লাইসেন্স ছাড়াই রেস্তরাঁয় মদ বিক্রির নালিশ

এখানে জাতীয় সড়কের দু’ধারে মোট ৪৬টি হোটেল রয়েছে। যার মধ্যে ২৩টি গড়ে উঠেছে রায়ত জায়গার ওপর। বাকি হোটেল ও রেঁস্তোরাগুলি জাতীয় সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

দিগন্ত মান্না

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৭
Share:

কোলাঘাটে রাস্তার পাশে এভাবেই রয়েছে বহু হোটেল ও রেস্তরাঁ। অভিযোগ, এমন বহু হোটেলেই বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হয়। —নিজস্ব চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরের প্রবেশদ্বার কোলাঘাট। তাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে হোটেল ও রেঁস্তোরা ব্যবসা। জাতীয় সড়কের দু’ধারে গড়ে ওঠা হোটেল-রেঁস্তোরা এখন এলাকা তো বটেই এমনকি কলকাতা-সহ বহু অঞ্চলের মানুষের বিনোদনের ঠিকানা। কিন্তু এই হোটেল-রেস্তোরাঁর অনেকগুলিতেই নিয়ম ভেঙে লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রির অভিযোগ অনেক দিনের। পাশাপাশি জাতীয় সড়কের জায়গা দখল করে হোটেল তৈরির অভিযোগও রয়েছে।

Advertisement

১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের হলদিয়া মোড় থেকে কোলাঘাট শরৎ সেতু পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারে সারি সারি হোটেল ও রেঁস্তোরা রয়েছে। তার মধ্যে একাধিক হোটেলের প্রচুর নামডাক। ভিআইপি থেকে শুরু করে মধ্য এবং উচ্চবিত্তদের একটা বড় অংশ প্রমোদ-আহারের জন্য কোলাঘাটকে বেছে নেন। বিশেষ করে পুজো ও ছুটির দিনে তিল ধারণের জায়গা থাকে না।

এখানে জাতীয় সড়কের দু’ধারে মোট ৪৬টি হোটেল রয়েছে। যার মধ্যে ২৩টি গড়ে উঠেছে রায়ত জায়গার ওপর। বাকি হোটেল ও রেঁস্তোরাগুলি জাতীয় সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। কোনও-কোনও রেঁস্তোরা আবার রায়ত এবং জাতীয় সড়কের জায়গা—দুই মিলিয়ে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

এতগুলি হোটেল এবং রেঁস্তোরার মধ্যে মাত্র ৫ টি'র মদ বিক্রির লাইসেন্স থাকলেও এখানে অধিকাংশ রেঁস্তোরায় মদ পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। এমনিতে জাতীয় সড়কের ধারে কোনও হোটেলে বা রেঁস্তোরায় মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয় না।

কোলাঘাট হাইওয়ে ব্যবসায়ী সমিতিও সম্পাদক বাবলু মাইতি বলেন,"এখানে সব হোটেল এবং রেঁস্তোরার মালিক আমাদের সংগঠনের সঙ্গে নেই। তাই আমার প্রতিবাদ করতেও পারি না। জাতীয় সড়কের ধারে কোনও দোকানে মদ বিক্রি করার অনুমতি পাওয়ার কথা নয়। কী ভাবে হচ্ছে জানি না।"

তমলুক আবগারি দফতরের সুপারিন্টেনডেন্ট যতন মণ্ডল ব্যাখ্যা দেন,"জাতীয় সড়কের ধারে মদ দোকান খোলার লাইসেন্স দেওয়া হয় না। কিন্তু কয়েক বছর আগে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, উন্নয়ন পর্ষদ এলাকার মধ্যে থাকা কোনও দোকান জাতীয় সড়কের ধারে থাকলেও মদ বিক্রির লাইসেন্স পেতে পারে। কোলাঘাট হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অধীন। তাই সেখানে লাইসেন্স নিলে মদ বিক্রি করা যায়। কিন্তু মাত্র কয়েকটি দোকানের সেই লাইসেন্স রয়েছে। বাকি বেশ কিছু রেঁস্তোরায় বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।"

কোলাঘাট থানার এক আধিকারিক বলেন,"হোটেল এবং রেঁস্তোরাগুলির সামনে সব সময় পুলিশি টহল থাকে। কোনও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা
নেওয়া হয়।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement