পর্যটনেই জোর মুখ্যমন্ত্রীর  

উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি এক সময় রাজকোষের ঘাটতির প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি জানান, দু’টাকা কেজি চাল দিতে গিয়ে রাজ্যকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া ঋণের বোঝা তাঁদের বইতে হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল ও শান্তনু বেরা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

দিঘায় ডিএসডিএ-র নয়া প্রশাসনিক ভবন। নিজস্ব চিত্র

সৈকত শহরগুলিতে পর্যটনে জোর দেওয়ার ব্যাপারে সব সময়ই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় বছর পরে পূর্ব মেদিন়ীপুরে সফরে এসে বাজকুলের সভা মঞ্চ থেকে দিঘা, মন্দারমণির পর্যটনের উন্নয়নেই বার্তা দিলেন তিনি।

Advertisement

বুধবার বাজকুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মন্দারমণিতে পর্যটকদের জন্য হোম ট্যুরিজম তৈরি করা হবে। সে ক্ষেত্রে ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ওই হোমস্টেগুলিতে মালিকের পর্যটকদের কাছ থেকে থাকা এবং খাওয়ার টাকা নিয়ে পারবেন। এতে তাঁদেরও আর্থিক লাভ হবে। দিঘায় পর্যটকদের জন্য যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তা নিয়ে এ দিন উচ্ছ্বসিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আজকে দিঘা দেখে আসুন। দিঘা একদিন গোয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে। দিঘা, মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতের তীরে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক তৈরি হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার হচ্ছে। বিশ্ব বাংলা কেন্দ্র-সহ নানা উন্নয়ন হচ্ছে।’’

তবে উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি এক সময় রাজকোষের ঘাটতির প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি জানান, দু’টাকা কেজি চাল দিতে গিয়ে রাজ্যকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া ঋণের বোঝা তাঁদের বইতে হচ্ছে।

Advertisement

এ দিন বাজকুলের সভা থেকে ‘দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদে’র নতুন প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, দিঘা ভ্রমণে আসা পর্যটকদের গাড়ি রাখার পার্কিং এলাকা, নিউ দিঘায় হোটেলের রাস্তা আলোকিতকরণ, নিউ দিঘায় ত্রিকোণ পার্কের সৌন্দর্যায়ন কাজের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, প্রশাসনিক সভা থেকে দিঘা বাইপাস রাস্তা সংস্কার এবং দিঘা ওয়েলকাম গেট থেকে ন্যায়কালী মন্দির পর্যন্ত ড্রাইভওয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি।

নিউ দিঘায় তিন একর জায়গা জুড়ে প্রায় ১৪ কোটি টাকা খরচে জাহাজের আদলে ‘দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদে’র নতুন প্রশাসনিক ভবনের গড়া হয়েছে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই ওই ভবনের সামনে ভিড় করেন উৎসুক পর্যটকেরা। ওই ভবনের মধ্যে রয়েছে বিশালাকৃতির ফোয়ারা, রেস্তোরাঁ, থিয়েটার হল। তবে ভবনটি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। দিঘা বেড়াতে আসা মুর্শিদাবাদের চঞ্চল বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাইরে থেকে বাড়িটিকে দেখে জাহাজ বলেই মনে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন। তাই দেখার জন্য একটু আগ্রহ ছিল।’’

মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে দিঘায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। কিন্তু তাতে পর্যটকেরা কোনও অসুবিধায় পড়েননি বলেই দাবি প্রশাসনের। এ দিন সকালে বাজকুলে সভায় যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী ওল্ড দিঘার সৈকতাবাসের সামনে সৈকত সরণিতে প্রাতর্ভ্রমণ করেন কিছুক্ষণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement