Attack on Abhishek Banerjee\'s convoy

অভিষেকের কনভয়ে হামলার নেপথ্যে কে? জেলে গিয়ে কুড়মি নেতাদের জিজ্ঞাসার অনুমতি পেল সিআইডি

গত শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির ‘রোড শো’ শেষ করে লোধাশুলি হয়ে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। তাতে তিনি জখম হন বলে দাবি মন্ত্রীর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৯:৫৭
Share:

হামলার ঘটনায় কুড়মিদের ‘ক্লিনচিট’ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

অভিষেকের কনভয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি-সহ একাধিক গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় জেলে গিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেল সিআইডির তদন্তকারী দল। সোমবার ধৃত ৯ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন ঝাড়গ্রাম আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার সিআইডি তরফে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়। বিচারক সেই অনুমতি দিয়েছেন।

Advertisement

এখন এই হামলার নেপথ্যে মাথা কে, কার নির্দেশে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত হয়েছিল, তা জানার জন্য ধৃত কুড়মি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, জেল হেফাজতে থাকা ৯ জন কুড়মি নেতার মধ্যে নীতীশ মাহাতো বাদে বাকি ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করে এডিজে ১ আদালত। অন্য দিকে, কুড়মিদের ‘ঘাঘর ঘেরা’ কর্মসূচির সাইকেল মিছিলে মেডিক্যাল দল এবং অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার দাবিতে জামবনি ব্লকে পথ অবরোধ করেছিলেন কুড়মি সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব। ওই ঘটনায় জামবনি থানার পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। ওই মামলাতেও কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো এবং আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতোর নাম ছিল। বুধবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে।

গত শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির ‘রোড শো’ শেষ করে লোধাশুলি হয়ে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে কুড়মিদের বিরুদ্ধে। সেই হামলায় অল্পবিস্তর জখম হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আদিবাসী নেত্রী বিরবাহা হাঁসদা। ওই হামলার ঘটনায় কুড়মিদের ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও এই হামলার ঘটনায় কুড়মি নেতা রাজেশ-সহ মোট ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশ এদের মধ্যে ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’-এর সভাপতি রাজেশ এবং আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজি মাহাতো-সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে। তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। অন্য দিকে, ধৃত রাজেশ এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement