এপ্রিলে পশ্চিমে মুখ্যমন্ত্রী

এপ্রিলের গোড়ায় জেলা সফরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই চলতি অর্থবছরে জেলার বকেয়া উন্নয়নের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনকে কোমর বেঁধে নামতে বললেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ এবং জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০১:৩০
Share:

এপ্রিলের গোড়ায় জেলা সফরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই চলতি অর্থবছরে জেলার বকেয়া উন্নয়নের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনকে কোমর বেঁধে নামতে বললেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ এবং জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ হলে উন্নয়ন সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা বৈঠক করেন উত্তরাদেবী ও জেলাশাসক। দু'টি পর্যায়ে ওই বৈঠক হয়। প্রথম পর্যায়ে সকাল দশটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেদিনীপুর মহকুমা ও ঝাড়গ্রাম মহকুমা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত ঘাটাল ও খড়্গপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের বিডিও, সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, সচিব, নির্বাহী সহায়ক ও নির্মাণ সহায়কদের নিয়ে বৈঠক হয়।

পরে সভাধিপতি বলেন, ‘‘আগামী মাসের গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামে আসতে পারেন। তার আগে আমরা উন্নয়ন-পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেছি। মার্চের মধ্যে আরও কয়েক দফা পর্যালোচনা বৈঠক করা হবে।’’

Advertisement

বৈঠকে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সজলকান্তি টিকাদার, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যাম পাত্র, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি প্রমুখ।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বৈঠকে মূলত, একশো দিনের কাজ, মিশন নির্মল বাংলায় বাড়ি-বাড়ি শৌচাগার নির্মাণ কাজের অগ্রগতি, ইন্দিরা আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। জঙ্গলমহলের ব্লকগুলিতে শৌচাগার নির্মাণের কাজ আশানুরূপ না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন সভাধিপতি ও জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। বেলপাহাড়ি, গোপীবল্লভপুর-২, জামবনি ব্লকে শৌচাগার তৈরির কাজ সবচেয়ে পিছিয়ে।

তবে একশো দিনের কাজে জঙ্গলমহলের ব্লকগুলির কাজের অগ্রগতির তথ্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন সভাধিপতি ও জেলাশাসক। উত্তরাদেবী জানান, চলতি অর্থবছরে একশো দিনের প্রকল্পে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ শ্রমদিবস সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৮৩ লক্ষ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement