অত্যাধুনিক টার্মিনাল গড়ার জন্য হলদিয়া বন্দরের কাছে জমি চাইলো ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া। প্রায় ৬০ একর জমি চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থা। শনিবার হলদিয়া বন্দরের আধিকারিকদের সঙ্গে ওই সংস্থার বৈঠক হয়। সেখানেই অত্যাধুনিক টার্মিনাল গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। হলদিয়ার পাতিখালিতে প্রায় ৬০ একর জমি দেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে বলে জানান বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) এসএন চৌবে। জানা গিয়েছে ওই টার্মিনাল রেলপথ ও সড়কপথের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সেখান থেকে নদীপথে বার্জ বা ভেসেলে করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পণ্য যাবে। আবার নদীপথে আসা পণ্য যাতে সড়ক বা রেলপথে গন্তব্যে পৌছাতে পারে সে ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত প্রায় ১৬২০ কিলোমিটার অন্তর্দেশীয় জলপথে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থা। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য এই দীর্ঘ নদীপথের তিন মিটার গভীরতা বজায় রাখা। যাতে করে ২০০০টন পর্যন্ত পণ্যবাহী বার্জ বা ভেসেল ওই পথে যাতয়াত করতে পারে। ২০১৪ সালের জুলাই মাস অর্থমন্ত্রী বাজেটে ৪২০০কোটি টাকার এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাঙ্ক প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সাহায্য দিতে সম্মত হয়েছে।
এর আগে ইনল্যান্ড ওয়াটার অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা হলদিয়ায় বিভিন্ন শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শিল্পসংস্থাগুলি তাদের পণ্য সামগ্রী কী ভাবে অন্য রাজ্যে পাঠাবে সে বিষয়ে সে দিন আলোচনা হয়েছে। তাছাড়াও অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণের সুযোগ সুবিধা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
পাল্টা প্রচার। বন্দরের পণ্য খালাসের নতুন নিয়মের ফলে কোনও অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি যাবে না। বরং কর্মসংস্থান আরও বাড়বে-এভাবেই আন্দোলনরত কর্মীদের পাল্টা প্রচারে নামল হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের পক্ষ থেকে সোমবার এ বিযয়ে লিফলেট ছড়ানো হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন সংবাদপত্রেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
সমস্যা সমাধানে আজ, মঙ্গলবার বিকেলে শ্রমিক ইউনিয়ন, পণ্য খালাসকারী সংস্থাকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে হলদিয়া বন্দরের আইএনটিটিইউসি নেতা শ্যামল আদক জানান, পুর নির্বাচনের কারণে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁরা ব্যস্ত রয়েছে। তারপর বৈঠক ডাকার কথা বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। বৃহস্পতিবারও কাজ হারানোর আশঙ্কায় বিক্ষোভ দেখান কার্গোপুলের কর্মীরা।
গত শুক্রবার থেকেই বন্দরের প্রশাসনিক ভবন জওহর টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ আন্দোদল চালিয়ে যাচ্ছেন কার্গোপুলের কর্মীরা।