দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র kamilasuvendu21@gmail.com
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে প্রায় প্রতিদিন সামনে আসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের কোন্দলের ছবি। এমন আবহে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামে জমি আরও শক্ত করতে বৃহস্পতিবার এলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। বৈঠক, কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজনের পাশাপাশি, পুজো দিলেন রেয়াপাড়া শিব মন্দিরে। গত বিধানসভা ভোট পর্বে যে মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তমলুক লোকসভা এলাকায় বিজেপির জনসংযোগ কর্মসূচিতে (প্রবাস) অংশগ্রহণ করতে নন্দীগ্রামে এ দিন আসেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। প্রথমে তিনি রেয়াপাড়া শিব মন্দিরে পুজো দেন। এর পরে মন্দির থেকে বেরিয়ে একটি দেওয়াল লিখনে হাত লাগান অর্থ প্রতিমন্ত্রী। গেরুয়া রং দিয়ে পদ্মফুল আঁকেন। পরবর্তী লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে 'এবারও বিজেপি সরকার' বলে দেওয়াল লিখন করেন তিনি। এর পরে নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে একটি কর্মী সভায় যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী। সভায় নন্দীগ্রামের পাঁচটি মণ্ডলের কর্মীরা ছিলেন। সেখানে পঙ্কজ বলেন, ‘‘যেভাবে বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে গেরুয়া ঝান্ডা উড়েছে, ঠিক সেভাবেই গোটা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদীজির হাতে তুলে দিতে হবে। সমস্ত কর্মীদের এর জন্য সুসংবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।’’
ওই সভা শেষ করে নন্দীগ্রামের মনোহরপুরে এক কর্মী গৌরহরি গিরির বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখান থেকে সোজা যান নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বুধবার নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর সড়কে ট্রেকার ও বাস দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু এবং ২৩ জন আহত হয়েছিলেন। আহতদের মধ্যে যাঁরা নন্দীগ্রামের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কথা বলেন। এ দিন অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য কমিটির সদস্য নবারুণ নায়েক, হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
লোকসভা ভোটের এখনও বছর খানেক বাকি। তবে পঞ্চায়েতের পাশাপাশি, লোকসভা ভোটেরও প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। যা দেখে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘জেপি শাসিত রাজ্যে ১৪৪ ধারা চলছে। রাজনৈতিক পর্যটক হিসাবে উনি এখানে ঘুরে গিয়েছেন, ঠিক আছে। এখানে বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। তাই চার আনা নকুলদানা দের নিয়ে আসতে হচ্ছে।’’