কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করেছে এগরা থানার পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
চলন্ত বাসে পরিবারের সদস্যদের সামনেই কন্ডাক্টরের অভব্য আচরণের শিকার হলেন এগরার এক গৃহবধূ। অভিযোগ, মোবাইল নম্বর চেয়ে জোরাজুরি করার পাশাপাশি তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করেন বাসের কন্ডাক্টর। মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ওই কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করেছে এগরা থানার পুলিশ। আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ হাওড়া থেকে একটি বেসরকারি বাসে করে এগরায় ফিরছিলেন এক মহিলা। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে ছিলেন তাঁর শাশুড়ি এবং ভাগ্নি। অভিযোগ, চলন্ত বাসেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের সামনে নানা ভাবে বিরক্ত করতে থাকেন বাসের কন্ডাক্টর। বার বার মোবাইল নম্বর চেয়ে জোরাজুরি করা ছাড়াও অভব্য আচরণ শুরু করেন তিনি। কোনও রকমে বাস থেকে নেমে বাড়িতে ফিরে গোটা ঘটনার কথা স্বামীকে জানান ওই মহিলা। সোমবার সকালে এগরা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ জানান মহিলার স্বামী। তাঁর কাছ অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় এগরা থানার পুলিশ।
এগরা থানার লেডি সাব-ইন্সপেক্টর অষ্টমী সাহু দ্রুত দলবল নিয়ে কলেজ মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাস থেকে অভিযুক্ত বিধান দাসকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি পটাশপুর থানা এলাকায়। তাঁকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন ওই গৃহবধূ।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাইকে দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি গুলি, খুন হাওড়ার যুবক