বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
দাঁড়িয়ে থাকা বাস হঠাৎই পিছনে গড়িয়ে গেল। আর তাতেই মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই ব্যক্তির বাবা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সরকারি বাসের চালক শৌচাগারে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বাসটি পিছনের দিকে গড়াতে থাকে। সেই সময় বাসের তলায় পড়েন দুই পথচারী। তাঁরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলের। অন্য দিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় বাবাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রাজনারায়ণ সামন্ত। ৪২ বছর বয়সি রাজনারায়ণের বাড়ি মেদিনীপুরের ধর্মার চণ্ডীপুর এলাকায়। বাবা শান্তিময় সামন্তের সঙ্গে কোনও একটি কাজে তাঁরা মেদিনীপুরে এসেছিলেন।
শুক্রবার সকালে ওই সরকারি বাসটি মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে ঢোকে। যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর বাসের চালক গাড়ি বন্ধ করে নেমে যান। কন্ডাক্টর গাড়ির বনেট খুলে মালপত্র বার করছিলেন। ওই সময় পিছনের দিকে গড়াতে শুরু করে বাসটি। বাসটির হ্যান্ডব্রেক লক ছিল না বলে মনে করা হচ্ছে। ওই বাসের পিছন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন শান্তিময়-রাজনারায়ণ। তাঁরা কোনও কিছু বুঝে ভেবে ওঠার আগেই ধাক্কা মারে বাসটি।
বেশ কিছু ক্ষণ পর তাঁদের উদ্ধার করা হয়। দু’জনকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে রাজনারায়ণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসককে। বাসের চালক শ্রীকান্ত মোহন্ত পরে বলেন, ‘‘কোনও ভাবে বনেট খোলার সময় নিউট্রাল হয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’’ তিনি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। অন্য দিকে, চালককেই কাঠগড়ায় তুলছেন প্রতক্ষ্যদর্শীরা। তাঁর ভুলেই এই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। বাসটিকে আটক করার পাশাপাশি চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।