ছোট আঙারিয়ায় তৃণমূলের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
৪ জানুয়ারি, ছোট আঙারিয়া দিবসে এ বার গড়বেতায় আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন তিনি বিজেপি নেতা। তাই বেশ কয়েক বছর পরে বাংলার রাজনীতিতে ভেসে উঠেছে একদা সারা ভারতে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ছোট আঙারিয়া গ্রাম।
২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি গড়বেতার এই গ্রামের তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক চলাকালীন হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মারা গিয়েছিলেন পাঁচ জন তৃণমূল কর্মী। তারপরে প্রতি বছরই ওই দিনে ছোট আঙারিয়া দিবস পালন করে তৃণমূল। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ বার দিনভর কর্মসূচি হবে। শুরু হয়েছে প্রস্তুতিও। মঙ্গলবার থেকে ছোট আঙারিয়ার স্মারক স্তম্ভে দলীয় পতাকা লাগানো শুরু হয়েছে। এ দিন পতাকা বাঁধতে দেখা গিয়েছে বক্তার মণ্ডল-সহ সেই ঘটনায় নিহত তৃণমূল কর্মীদের পরিবারের কয়েকজনকেও। বক্তার বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকেই আমাদের পাশে আছেন। ভাঙা পা নিয়েই তিনি প্রথম ছুটে এসেছিলেন এই গ্রামে। তাই আমরা প্রথম থেকে তাঁকেই জানি। অন্য কে কী বলল জানি না।’’ জেলা তৃণমূল সম্পাদক গড়বেতার অসীম সিংহরায় জানান, এ বার ১০ হাজার মানুষ নিয়ে স্মরণসভা করা হবে ছোট আঙারিয়ায়। সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তিনি জুড়ছেন, ‘‘দলের কর্মীদের মধ্যে এ বার বাড়তি জেদ চেপে গিয়েছে। তাই তাঁরা দিনটি বড় করেই পালন করবেন বলে ঠিক করেছেন।’’
বসে নেই বিজেপিও। রবিবার দাঁতনের সভামঞ্চ থেকেই ৪ জানুয়ারি গড়বেতা আসার কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। সোমবার ঝাড়গ্রামে এসেও ছোট আঙারিয়ার কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে সভার প্রস্তুতিও শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার সভার জায়গা নিয়ে একদফা আলোচনাও হয়েছে। তৃণমূলের বাড়তি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি মদন রুইদাসের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই আগের থেকেই তারা ঘর সামলাতে ব্যস্ত।’’ শুভেন্দু কি ওই দিন ছোট আঙারিয়ায় যাবেন? মদনের উত্তর, ‘‘এখনও চুড়ান্ত কিছু হয়নি।’’