প্রতীকী ছবি।
উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। তবে প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না প্রধান দুই প্রতিপক্ষ।
আগামী ২৫ নভেম্বর খড়্গপুর সদর (শহর) বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হবে বলে শুক্রবার ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিজেপি ও তৃণমূল প্রধান দুই প্রতিপক্ষের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি এখনও। ওই দিন খড়্গপুর সদর ছাড়াও রাজ্যের করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জে বিধানসভা উপ-নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উপ-নির্বাচনের জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করে মনোনয়ন পর্ব শুরু হবে। ৬ নভেম্বর মনোনয়নের শেষ দিন। ৭ নভেম্বর স্ক্রুটিনি। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। ফল ঘোষণা হবে ২৮ নভেম্বর।
উপ-নির্বাচনের জন্য এ দিন থেকেই জেলার প্রশাসনিকস্তরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আজ, শনিবার জেলার প্রশাসনিক ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছেন জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিক। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেও প্রার্থী নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। একমাস পরেই ভোট। এখনও বিজেপি ও তৃণমূলের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের তরফে অবশ্য প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন বলে ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রার্থীর পরিচিতিতে পথেও নেমেছে কংগ্রেস। দশবারের কংগ্রেস বিধায়ক প্রয়াত জ্ঞানসিংহ সোহনপাল তথা রেলশহরের চাচার পুরনো ‘গড়’-এ অন্তত প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেস একধাপ এগিয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই শহরে ‘চাচা’কে হারিয়েই জিতেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপর গত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন দিলীপ। তাই এই উপ-নির্বাচন। বিজেপি-তৃণমূল দু’দলই বলছে, শীর্ষ নেতৃত্ব প্রার্থী ঠিক করবেন। তবে জয়ের দাবি জানাচ্ছে দু’দলই।
বিজেপি বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তাদের ৪৫ হাজার ‘লিড’ ছিল। ফলে, এ বারও জয় নিশ্চিত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমিত দাস বলছেন, “আমরা এ বার ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব। নিজের এলাকায় পায়ের তলার মাটি হারানো কাঁথির যুবরাজকে (শুভেন্দু অধিকারী) এনে তৃণমূল শত ধমক-চমক দিলেও সুফল পাবে না।”
গত কয়েকমাসে বারবার রেলশহরে এসে তৃণমূলকে নানাভাবে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালিয়েছেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু। ভোটের মুখে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও বলছেন, “আমরা এখন সাংগঠনিকভাবে মজবুত হয়েছি। তাই জয় নিশ্চিত।”