তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশে শনিবার সবংয়ে হাজির ছিলেন বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। আর তারপরই আচমকা যুব তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি পদে রদবদল হল। রবিবার নতুন যুব সভাপতি সভাপতি করা হয়েছে আবু কালাম বক্সকে। মানসবাবুর অনুগামী বলেই পরিচিত আবু। ব্লক সভাপতি বদলের কথা মানছেন যুব তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি। তাঁর কথায়, “সবংয়ে যুব সভাপতি পদে রদবদলের দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করা হল।”
মানসবাবু-সহ সবংয়ের প্রায় সব কংগ্রেস নেতাই এখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে, নতুন-পুরনো বিরোধ চরমে উঠেছে সবংয়ে। মানস ভুঁইয়া এবং তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতির অনুগামীদের সেই বিরোধের জেরে ক’দিন আগে সবং কলেজের ছাত্র নির্বাচনে বিরোধী না থাকা সত্ত্বেও ভোটাভুটি হয়েছে। জিতেছেন মানস-অনুগামীরা। যুব সভাপতি পদে মানস অনুগামীকে আনায় সেই দ্বন্দ্ব উস্কে যাবে না তো? যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদের অবশ্য দাবি, “সবংয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্বই নেই।”
আগে যুব তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি ছিলেন পার্থপ্রতিম মাইতি। পার্থ সবং ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রভাত মাইতির ছেলে। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে প্রভাতবাবু অমূল্য-অনুগামী বলেই পরিচিত। পার্থও অমূল্য-অনুগামী বলে পরিচিত। অন্য দিকে, আবু বরাবর মানস-অনুগামী বলে পরিচিত। শনিবারের ছাত্র- যুব সমাবেশে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন আবু।
জেলা তৃণমূলের এক নেতা আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শনিবারই তো সবংয়ের তেমাথানিতে দলের ছাত্র-যুব মানসবাবু ও অমূল্যবাবু পাশাপাশি বসেছিলেন। দলের সবং ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতিও ছিলেন। ওই তৃণমূল নেতার মতে, “কখনও ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে তা মিটেও যায়।” সবংয়ের ছাত্রভোটে দলীয় দ্বন্দ্ব যে ভাবে বেআব্রু হয়েছে, ভবিষ্যতে তাতে রাশ টানা হবে বলে শনিবারের সমাবেশে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি বলেন, “আর এমনটা হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা সকলকেই মানতে হবে।’’