—ফাইল চিত্র।
গেরুয়া শিবিরে তিনি যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে। রাজ্যের পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর একদা ‘ঘনিষ্ঠ’ হলদিয়ার সেই ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতা মিলন মণ্ডলকে গাঁজা মামলায় পুলিশ গ্রেফতারের পর এখন জেল হাজতে। কিন্তু জল্পনা থাকলেও বিতর্কিত এই নেতাকে দলে নেওয়া নিয়ে আপত্তি তুললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর এক সময়ের ‘কাছের লোক’ মিলনের বিরুদ্ধে দলের রাজ্য দফতরে লিখিত অভিযোগও পাঠানো হয়েছে। গাঁজা পাচার কাণ্ডে ধৃত এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘আপত্তি’ জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা সভাপতি ( তমলুক) প্রদীপ কুমার দাস। শনিবার রাজ্য সভাপতির কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারীর ছত্রচ্ছায়ায় এসে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে ‘একাধিপত্য’ দেখাতে শুরু করে মিলন। হলদিয়ায় একের পর এক কারখানায় মাতব্বরি দেখানো থেকে তোলা আদায়ের ভুরি ভুরি অভিযোগ আসতে শুরু করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিলনকে ‘সরিয়ে’ দেয় দল।
জেলা বিজেপি সূত্রে দাবি, লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন মিলন। এমনকী, একাধিকবার বিজেপির রাজ্য দফতরে গিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। হলদিয়ার বাসিন্দা তথা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তারক আদক জানান, তৃণমূলের ছত্রচ্ছায়ায় হলদিয়ায় সাধারণ শ্রমিকদের যে শোষণ করেছে। প্রচুর কাটমানি খেয়েছে। এমন নেতা দলে যোগ দিলে বিধানসভা ভোটে দলের প্রতি সাধারণ মানুষ বিরূপ হতে পারেন। সেই আশঙ্কায় তৃণমূলের প্রাক্তন নেতার যোগদান আটকাতে দলের রাজ্য সভাপতির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
যদিও, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি জেলা বিজেপি সভাপতি (তমলুক) প্রদীপ কুমার দাস। অন্যদিকে, আইএনটিটিইউসি-র কার্যকরী জেলা সভাপতি শিবনাথ সরকার বলেন, ‘‘মিলন দলের কিংবা শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। দলের শ্রমিক সংগঠনের নাম করে অনেক ভুল কাজ করায়, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁকে নিয়ে কে কী করল, তাতে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।