রামনবমীতে তমলুক শহরে বিজেপির র্যালি। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস
রামনবমীতে এবার প্রকাশ্যে সশস্ত্র মিছিল বন্ধে রাজ্য প্রশাসনের তরফে হুঁশিয়ারি ছিলই। তবে তমলুক শহরের রাস্তায় নিরস্ত্র মিছিল করার কথা জানিয়েছিলেন বিজেপি প্রভাবিত রামনবমী সমিতির কর্তারা।
রবিবার শহরের রাস্তায় নিরস্ত্র মিছিল হলেও মিছিলে হেলমেটহীন মোটর সাইকেল বাহিনী ও স্কুলপড়ুয়াদের সামিল হতে দেখা গিয়েছে। শহরের নিমতলা থেকে হলদিয়া–মেচেদা রাজ্য সড়ক ধরে ওই মিছিল এগোনোর পথে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। যদিও পুলিশের সামনেই মোটরসাইকেল বাহিনীর অধিকাংশের মাথায় ছিল না হেলমেট। চড়া রোদে এদিন মিছিলে সামিল ছিল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা খুদেরা। যাদের অধিকাংশই স্কুলপড়ুয়া। বিজেপি’র এই রামনবমীর মিছিল এদিন তমলুক শহরের হাসপাতালমোড়,শঙ্করআড়া হয়ে মানিকতলা মোড় যাওয়ার আগে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড হয়ে ফের ঘুরে এসে শঙ্করআড়া হয়ে শহরের ভিতর ঢোকে। শহরের ভিতরের রাস্তায় মিছিল করে সেটি যায় রূপনারায়ণ নদী তীরবর্তী একটি মাঠে। এদিন ওই মিছিলে বিজেপির প্রথমসারির নেতারা অনুপস্থিত থাকলেও মাঠে জমায়েতে হাজির ছিলেন দলের তমলুক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস, দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মলয় সিংহ, যুব মোর্চা নেতা নীলাঞ্জন অধিকারী, রামনবমী উৎসব সমিতির সভাপতি এস আর জানা এবং যুগ্ম সম্পাদক অনুপ মাইতি, হরেকৃষ্ণ বেরা প্রমুখ।
মিছিলে হেলমেটহীন মোটরসাইকেল থাকার কথা স্বীকার করে জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘হেলমেটবিহীন বাইক চালক-আরোহীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।’’
এদিন কাঁথি শহরে রামনবমী উপলক্ষে রথ নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেছিল তৃণমূল প্রভাবিত কাঁথি শহর রামনবমী উদযাপন কমিটি। বিজেপি প্রভাবিত গেরুয়া শিবির কাঁথি শহরে শুক্রবার রামনবমীর মিছিল করে।
এদিন শোভাযাত্রা পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন, সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী, জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মন্ডল, বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, বিধায়ক রণজিৎ মন্ডল প্রমুখ। সৌমেন্দুবাবু বলেন, “আমরা নিষ্ঠাভরে রামের পুজো করেছি। শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা করেছি। যারা রামকে নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিল তারা এদিনের বিশাল শোভাযাত্রা ও মানুষের ঢল থেকে শিক্ষা নিক।’’
গেরুয়া ও ঘাসফুল-যুযুধান দুই শিবিরই রবিবার হলদিয়ায় রামনবমী উৎসবে মেতেছিল। এ দিন সুতাহাটার চৈতন্যপুরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে রাম নবমী উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে চৈতন্যপুর থেকে রামপুর পর্যন্ত মিছিল করে। একটি বাইক মিছিলও বেরোয়। অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন বিজেপির সুতাহাটা মণ্ডল সভাপতি অশোক মাইতি, সম্পাদক প্রদীপ দাস প্রমুখ।
রামনবমী উপলক্ষে কুমারী পুজোর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন হলদিয়ার পুরপারিষদ (বিদ্যুৎ) স্বপন নস্কর। তবে শেষ পর্যন্ত রামনবমী উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ায় হাঁফ ছেড়েছে পুলিশ।