তালা ঝুলল ঝাড়গ্রাম শহরের বিজেপি পার্টি অফিসে। নিজস্ব চিত্র
গোপীবল্লভপুরে আঁচ এ বার ঝাড়গ্রাম শহরে। বিক্ষোভেও শামিল হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহর জেলা বিজেপি দলীয় কার্যালয়ের গেটেও তালা ঝুলিয়ে দিলেন বিজেপি কর্মীরা। গোপীবল্লভপুরের মতো নতুন জেলা কমিটি গঠন নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি কর্মীরা। কিছু ক্ষণ পরে অবশ্য খুলে দেওয়া হয় তালা।
বিনপুর বিধানসভার প্রার্থী পালহান সরেনও, এই দিনের বিক্ষোভে শামিল হন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দলের ভিতরে ঝগড়া বা রাগ থাকতেই পারে। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলায় যে ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে এই কমিটি মেরুদণ্ডহীন হয়েই থাকবে। রাজ্য ও জেলার উচ্চ নেতৃত্ব মেরুদণ্ডহীন ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন, না বিজেপি পার্টিকে ভাল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেটা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার।’’ একই রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে তা দলের পক্ষে ভাল নয় বলেও পালহান মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, আগামী দিনেও তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। তবে উচ্চ নেতৃত্বের তরফ থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জেলা প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্য নেতা এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘নতুন কমিটি হলে সব জায়গায় একটু সমস্যা হয়। তবে নির্বাচনের পর সব জায়গায় বিজেপি কর্মীরা লাঞ্ছিত হয়েছেন, মামলায় জড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। এত দিন যাঁরা লড়াই করে গেলেন তাঁরা এই কমিটিতে নেই বলেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।’’ জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও তিনি জানান।
জেলা কমিটি গঠন নিয়ে দু’দিন ধরে উত্তাপ ছড়িয়েছে গোপীবল্লভপুরের বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যেও। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি-র নতুন কমিটিতে জায়গা না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখান যুব মোর্চার কর্মীরা। প্রজাতন্ত্র দিবসের রাতে গোপীবল্লভপুরের ফানিয়ামারা বিজেপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা খুলে ফেলেন, গেটে তালাও ঝোলান যুব মোর্চার কর্মীরা।
জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো ২৫ জানুয়ারি নতুন জেলা কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। অভিযোগ উঠেছে, কমিটির ২১ জনের মধ্যে নাম নেই বিজেপি-র এক অংশের নেতাদের। এমনকি, জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষের নামও নেই এই নবগঠিত কমিটিতে। আর তাতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে প়ড়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।