—নিজস্ব চিত্র।
এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এই হামলার ঘটনাকে পুরোপুরি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায় বিরোধীদের এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খিরেটি গ্রামে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মী আশিস ঘোষের অভিযোগ, শনিবার রাতে নিজের দোকানে থাকাকালীন তৃণমূলের বেশ কয়েক জন তাঁর উপর দুষ্কৃতী চড়াও হয়। তাঁকে দোকান থেকে বার করে মারধরও করে। আশিসের দাদা সুকান্ত ঘোষ তাদের বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করে বলে অভিযোগ।
আশিসের দাবি, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ৩ মে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর ও ভাঙচুর চালিয়েছিল তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতী। ওই ঘটনার পর থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন। তবে ২৪ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানানোর দিন পাঁচেক পর পরিবার নিয়ে বাড়ি ফেরেন। আশিসের কথায়, ‘‘মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানানোর জন্যই শনিবার রাতে আমাদের বেধড়ক মারধর করে হুমকি দিয়ে যায় তৃণমূলের লোকজন।’’ এলাকার মণ্ডল সভাপতি রাজীব পালের দাবি, ‘‘তৃণমূলের লোকেরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিজেপি করার অপরাধে মারধর করছে। অবিলম্বে তা বন্ধ হওয়া উচিত।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে আহতদের উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি চলে যান দু’ভাই। বিজেপি-র অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।
যদিও বিজেপি-র অভিযোগকে পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন চন্দ্রকোনা ২নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জগজিৎ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-র কোনও অস্তিত্ব নেই। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ওদের নিজেদের মধ্যে কোন্দল চলছে। মিথ্যে অভিযোগ করে এলাকায় গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছে।’’