Ram Mandir Inauguration

রাম-বার্তা নিয়ে বছরের প্রথম দিনই দুয়ারে গেরুয়া

আরএসএসের জেলার ভারপ্রাপ্ত এক কার্যকর্তা জানান, রামমন্দিরের ছবি, অযোধ্যায় পূজিত অক্ষত চাল, আমন্ত্রণপত্র বিলির কাজে এই জেলাকে ২০টি খণ্ড ও ৭টি নগরে ভাগ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে জেলায় রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র বিলি শুরু করে দিল আরএসএস। সোমবার মেদিনীপুর, ঘাটাল, খড়্গপুর তিনটি মহকুমাতেই এই কাজ শুরু হয়েছে বলে সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ায় আবার জাঁকজমক সহকারে কর্মসূচির সূচনা হয়।

Advertisement

আরএসএসের জেলার ভারপ্রাপ্ত এক কার্যকর্তা জানান, রামমন্দিরের ছবি, অযোধ্যায় পূজিত অক্ষত চাল, আমন্ত্রণপত্র বিলির কাজে এই জেলাকে ২০টি খণ্ড ও ৭টি নগরে ভাগ করা হয়েছে। বিলি করার জন্য সব মিলিয়ে প্রায় হাজার ছোট ছোট দল গড়া হয়েছে। শুধু মেদিনীপুর, ঘাটাল, খড়্গপুর পুর এলাকা মিলিয়েই গড়া হয়েছে প্রায় ৩০০টি দল। প্রতি দলে সঙ্ঘ ও তার সহযোগী শাখা থেকে ৪-৫ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নেওয়া হয়েছে। তাঁরাই তিন বেলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমন্ত্রণপত্র বিলি করছেন।

আরএসএসের শীর্ষ মহল থেকে আমন্ত্রণপত্র বিলির সূচি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি— এক পক্ষকাল ধরে এই কাজ চলবে বলে প্রতি জেলার আরএসএসের সহযোগী শাখা গুলির কাছে নির্দেশ এসেছিল। সূচি মেনে সোমবার থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় শুরু হয়েছে এই কাজ। সঙ্ঘের এক কার্যকর্তা বলেন, মেদিনীপুর পুর এলাকায় ৯০টির মতো ছোট দল করা হয়েছে। সোমবার শহরের অনেক এলাকাতেই আমন্ত্রণপত্র বিলি করতে বেরিয়েছে ভারপ্রাপ্ত দলগুলি। ঘাটাল পুর এলাকাতেও এই কাজ শুরু হয়েছে। ওই কার্যকর্তা বলেন, ‘‘বিভিন্ন ভাষার মানুষের বাস বেশি বলে খড়্গপুরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে হিন্দিভাষীদের জন্য হিন্দিতে আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হচ্ছে।’’

Advertisement

গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, সোমবার থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, ‘‘এটা ট্রাস্টের কর্মসূচি।’’ হলুদ চালে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে রাম-বার্তা। দেশ জুড়ে অক্ষত হলুদ চাল ও আমন্ত্রণপত্র নিয়ে ৫ লক্ষ গ্রাম ও ১২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের ‘রেপ্লিকা’ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। গেরুয়া শিবির সূত্রের দাবি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের উদ্যোগে প্রচারও শুরু হয়েছে রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে।

ঝাড়গ্রাম জেলাতেও সোমবার থেকে সঙ্ঘ পরিবারের তরফে বাড়ি-বাড়ি আমন্ত্রণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরঙ্গ দল, সমাজসেবা ভারতী, আরোগ্য ভারতী, বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের মত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে রামমন্দিরের ছবি, অযোধ্যা থেকে প্রসাদী চাল এবং ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের শুভ সূচনা ও রামলালার মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনে পালনীয় কর্মসূচির তালিকা তুলে দিচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন খণ্ডে এই কাজ চলছে। সঙ্ঘের এক কার্যকর্তা জানাচ্ছেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জেলার দেড় লক্ষ পরিবারের কাছে পৌঁছনো হবে।

এ দিন ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযান কর্মসূচির সূচনা হয় জাঁকজমকের সঙ্গে। ছিলেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ন্যাসের ঝাড়গ্রাম জেলার কার্যকর্তা নিশীথ মাহাতো। সঙ্ঘ পরিবারের মানিকপাড়া খণ্ডের কার্যকর্তা বাপি দাস জানান, এ দিন শোভাযাত্রা থেকে ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় উলুধ্বনি এবং সন্ধ্যায় ৫টি প্রদীপ জ্বালানোর জন্য এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement