প্রতীকী ছবি।
এক মাসের মধ্যে ফের রামনগরে সভা করতে চলছে বিজেপি। গতবারের সভায় হাজির হয়েছিলেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর এবারের সভায় থাকার কথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের বিরোধী গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বিধানসভা এলাকায় এভাবে বারবার বিজেপি’র সভার আয়োজনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আগামী কাল, শনিবার রামনগরের এসএ ময়দানে জনসভা করবে বিজেপি। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর সাংবাদিক বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে বিজেপির ওই সভা থাকবে নজরে।
গত নভেম্বরে রামনগর এবং মেচেদায় সভা করে গিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তারপরে হেঁড়িয়া, হলদিয়া এলাকায় কর্মসূচি করে গিয়েছেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। শুভেন্দুকে নিয়ে তৃণমূলে টানপোড়েন চলাকালীন বিজেপির একের পর এক কর্মসূচি আসলে তৃণমূল এবং শুভেন্দু দু’জনকেই চাপে রাখার কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা। ‘অধিকারী গড়ে’ শাসকদল তৃণমূলের অন্দরের ডামাডোল পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে মরিয়া বিজেপি।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সামনে বিধানসভা ভোট। বড় সভা-সমিতি বেশি করে করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের সঙ্গে কার সম্পর্ক কোন দিকে গেল, সে দিকে আমাদের নজর নেই। আমাদের সঙ্গে কেউ যুক্ত হতে চাইলে তাঁকে স্বাগতম।’’ উল্লেখ্য, কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে পরে ‘এক সঙ্গে কাজ করা যাবে না’ বলে বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি আগামী দিনে তৃণমূলে থাকবেন, না কি অন্য কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা।
এদিকে, রামনগরে বিজেপির সভার পরেই পাল্টা কর্মসূচি করবে রাজ্যের শাসক দল। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যব্যাপী ‘বঙ্গের রথ’ নামে একটি কর্মসূচি শুরু হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। ওই দিন রামনগরেও তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব হাজির থাকার কথা। তব সেটা পাল্টা কর্মসূচি নয় বলে দাবি স্থানীয় বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরির। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সারা বছর এলাকার লোকেদের সঙ্গে থেকে নানারকম কর্মসূচি করে থাকি। বিজেপির পাল্টা কোনও কর্মসূচি আমাদের দরকার হবে না।’’