—প্রতীকী চিত্র।
জল জীবন মিশনের আওতায় পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রকল্প অফিসে তালা দিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। যার নেতৃত্বে থাকলেন খোদ জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইত। বিজেপির নেতা-কর্মীরা পরে স্থানীয় রামচন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। যদিও পুলিশ আসার আগেই সেই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের জন্য ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে শান্তিপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকার রামচন্দ্রপুরে একটি প্রকল্প গড়ার কাজ চলছে। ৫ কোটি ৮২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার বরাদ্দে প্রকল্পের কাজ এক বছর আগে শুরু হয়েছিল। তৈরি হয়ে গিয়েছে পাম্প হাউস। সেই পাম্প হাউস অপারেটর নিয়োগ ঘিরেই বিতর্ক। বিজেপি নেতা বামদেব বলে, ‘‘পাম্প অপারেটর হিসেবে যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলের বৃত্তিমূলক বিভাগের নৈশ প্রহরী হিসাবে কর্মরত। অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত সরকারিভাবে কোনও গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। তারপরও এই ব্যক্তি তৃণমূল নেতা হওয়ার সুবাদে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সহায়তায় বেআইনি ভাবে নিযুক্ত হয়েছেন। পঞ্চায়েতকে এড়িয়ে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ করা হয়েছে।’’
এর প্রতিবাদে এ দিন প্রকল্প অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ চলে বিজেপির। বামদেবের সঙ্গে তাতে নেতৃত্ব দেন বিজেপির তমলুক-১ মণ্ডল সভাপতি মধুসূদন মণ্ডল, শান্তিপুর-২ পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা মণ্ডল, উপ-প্রধান নবীন দাস। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল সভাপতি রাজেশ হাজরা বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি আমাদের দলের একজন সমর্থক। সরকারি নিয়ম মেনেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব জল প্রকল্পের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই অফিসে তালা মেরেছেন।’’ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রাজেশ জানাচ্ছেন, বিজেপি পরিচালিত শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে জল প্রকল্পে কর্মী নিয়োগে আর্থিক লেনদেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছেন সমিতিরই এক কর্মাধ্যক্ষ তথা বিজেপির নেত্রী। তা থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই বামদেবের নেতৃত্বে এদিন এই বিক্ষোভ হয়েছে বলে দাবি রাজেশের।