মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন অন্তরা ভট্টাচার্য। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
মনোনয়ন জমা দিলেন সবং উপ-নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্য। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে খড়্গপুর মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
উপ-নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছিল সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেস। ওই তিন দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমার পরেও অবশ্য বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। শেষে শনিবার রাতে সিপিএম থেকে দলে আসা প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে বিজেপি। এ দিন বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়ার স্বামী সাংসদ মানস ভুঁইয়া। পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি প্রার্থী অন্তরাও।
সবং বিধানসভা উপ-নির্বাচনে লড়াই এ বার চতুর্মুখী। ভোটের ময়দানে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিন আগে সবংয়ে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করে গিয়েছেন, তৃণমূল প্রার্থী গীতাদেবীকে তৃণমূলের একাংশ মেনে নিতে পারছে না। সেই দিনই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া মুকুলকে ‘ভাড়াটে সৈনিক’ বলে বিঁধেছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মানস ভুঁইয়া। এ দিন সবংয়ের অডিটোরিয়ামে যুব তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মানসবাবু। সেখানে অন্তরাদেবীকে বিজেপির ‘ভাড়া’ করা প্রার্থী বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, “সবংয়ে বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পেল না। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের পিংলা থেকে প্রার্থী ভাড়া করে আনতে হয়েছে।” বিজেপি-সিপিএমকে একযোগে খোঁচা দিয়ে মানসবাবুর আরও সংযোজন, “অন্তরা ভট্টাচার্য একসময়ে সিপিএমের পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। পরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়েছিলেন। আমরা যে বলি বিজেপি-সিপিএম ভাই-ভাই— অন্তরা ভট্টাচার্য তার প্রমাণ।”
বিজেপি প্রার্থী অন্তরার পাল্টা খোঁচা, “মানসবাবু বোধ হয় জানেন না আমার শ্বশুরবাড়ি সবংয়ে। আর গীতারানি ভুঁইয়ার শ্বশুরবাড়িও সবংয়ে। তবে কি গীতা ভুঁইয়াও ভাড়াটে প্রার্থী?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মানসবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ায় কি প্রমাণ হয় যে কংগ্রেস-তৃণমূল ভাই-ভাই? আসলে বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা দেখতে পেয়ে মানসবাবুর মাথা কাজ করছে না।”