তমলুকে নগর পরিক্রমায় শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস
তমলুক শহরে মহাপ্রভু মন্দির প্রাঙ্গণে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চৈতন্যদেবের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শনিবার তমলুকে চৈতন্যদেবের ৫১১ তম আগমন তিথি স্মরণে আয়োজিত উৎসবে যোগ দিয়ে এমন ঘোষণা করেন রাজ্যের পরিবহণ ও সেচ-জলপথ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। উৎসব উপলক্ষে এদিন সকালে তমলুক শহরের রাখাল মেমোরিয়াল ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা নগর পরিক্রমা করে। শহরের হাসপাতালমোড়, নিমতলা, বড়বাজার ও স্টিমারঘাট হয়ে জেলখানা মোড়ের কাছে মহাপ্রভু মন্দির প্রাঙ্গণে শোভাযাত্রা শেষ হয়। নগর পরিক্রমায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় হাঁটেন শুভেন্দু। নগর পরিক্রমা শুরুর আগে শ্রীগৌরাঙ্গ কথামৃতের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এরপর মৃদঙ্গ বাজিয়ে ও প্রতীকী পতাকা তুলে ধরে নগর পরিক্রমার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। পদযাত্রার সময় শুভেন্দুর মাথায় রাজছত্র ধরা হয়েছিল। সঙ্গে ছিলেন গোপীবল্লবপুর গোবিন্দজিউ মন্দিরের মহন্ত কৃষ্ণকেশবানন্দ দেবগোস্বামী, চৈতন্যদেবের তমলুকে ৫১১ তম আগমন উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরকিশোরানন্দ দেবগোস্বামী, উৎসব কমিটির সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক ব্রহ্মময় নন্দ, পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন, উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, হলদিয়ার পুরপ্রধান শ্যামল আদক এবং তমলুক ও হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলর-সহ শহরের বিশিষ্টরা।
নগর পরিক্রমার শুরুতে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, ‘‘চৈতন্য মহাপ্রভুর তমলুকে আগমনের ৫০০ বছর স্মরণ উপলক্ষে মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠান হয়েছিল। এ বছর মহাপ্রভুর তমলুকে আগমনের ৫১১ তম বর্ষ স্মরণে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তমলুক মহাপ্রভু মন্দির প্রাঙ্গণে পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ শ্রীচৈতন্যর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করব। বিশেষজ্ঞদের কাছে খোঁজখবর নিয়ে সবচেয়ে উঁচু মূর্তি নির্মাণ করা হবে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এটা করবে।’’
এ দিন শুভেন্দুর পরনে ছিল গেরুয়া পাঞ্জাবি ও সাদা পাজামা। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। নন্দীগ্রাম সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েক হাজার ভক্ত নগরসংকীর্তনে যোগ দেন। পরিক্রমা শেষে মহাপ্রভু মন্দির প্রাঙ্গণে মহাপ্রসাদ বিতরণ করেন শুভেন্দু। উৎসব কমিটির সহ-সভাপতি ব্রহ্মময় নন্দ বলেন, ‘‘চৈতন্যদেব ৯১৬ বঙ্গাব্দে আজকের তিথিতে তমলুকে প্রথম এসেছিলেন। তাকে স্মরণ করেই এই উৎসব। উৎসব উপলক্ষে নগর পরিক্রমা, মহাপ্রসাদ বিতরণ, ধর্মসভা, গীতা ও বস্ত্রদান ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের করা হয়েছে।’’
এদিন দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণের সময় ভিড়ে এবং গরমে এক বৃদ্ধা-সহ ৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের দ্রুত তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।