তৃণমূলে যোগদান বিক্রমাদিত্য মল্লদেবের। ফাইল চিত্র
বিজেপির যোগদান মেলায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন আইপিএস তথা দলীয় নেত্রী ভারতী ঘোষকে। শিলদায় বিজেপির সেই কর্মসূচির এক সপ্তাহের মধ্যেই সোমবার পাল্টা সভা করল তৃণমূল। সেখানে শাসকদলের নেতানেত্রীরা মূলত বিঁধলেন সেই ভারতীকেই।
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, কলকাতায় ফেরার পথে তিনি বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের তরুণ সদস্য বিক্রমাদিত্য মল্লদেবকে। এ দিন নীলকমল মাঠে পাল্টা সভায় রাজ্য মহিলা তৃণমূলের নেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘরে ফিরলেন বিক্রমাদিত্য। গত বছর সেপ্টেম্বরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন বিক্রমাদিত্য। সম্প্রতি তাঁকে তৃণমূলের দলীয় মিছিলে তাঁর বাবা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুর্গেশ মল্লদেবের পাশে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল।
২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে বিজেপিতে যোগদান। নিজস্ব চিত্র
এ দিন তৃণমূলের পাল্টা সভায় জেলার বড়, মেজ, ছোট সব স্তরের নেতা-নেত্রীরা হাজির ছিলেন। এছাড়াও রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সভায় ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা, রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। সভাস্থলে জমায়েত হয়েছিল অনেক। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতোও ভারতী ঘোষের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘উনি (ভারতী) পুলিশ সুপার থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে মা বলেছিলেন। এখন কোন মুখে সমালোচনা করেন। ’’ মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘এটা বিজেপির জায়গা নয়। কনকদুর্গা মন্দিরকে সাহায্য কে দিয়েছিলেন, দিদি দিয়েছিলেন। আমাদের দুর্গা একাই আমলাশোলের খিদে মিটিয়েছেন।’ চন্দ্রিমা বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে দেবাংশু সভায় আসেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতী ঘোষ এখানে বলেছেন বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলে ওরা নাকি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়বেন। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় করতে গেলে রাজ্যের ক্ষমতায় না-থেকেও করা যায়। আপনারা তো কেন্দ্রের ক্ষমতায়। ভারতীদেবী কী মানুষকে বোকা পেয়েছেন। বিজেপি কেবল মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চায়।’’