জেলা জুড়ে জায়গায় জায়গায় চলে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রের কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে দেশ জুড়ে বনধে শিল্পাঞ্চল সচল থাকলেও যান চলাচল যথেষ্ট বিঘ্নিত হয় বিশেষ করে যাত্রীবাহী বাস খুব একটা পথে নামেনি। তার ওপর এদিন সকাল থেকে জেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। যদিও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। মোটের উপর পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে মিশ্র প্রভাব দেখা গিয়েছে বনধে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ ঘন কুয়াশার মাঝেই নিমতৌড়িতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এসইউসিআই সমর্থকরা। এই সড়কে মেছেদার শান্তিপুরের কাছেও অবরোধ করা হয়। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পাঁশকুড়া মেচগ্রামের কাছেও অবরোধ হয়। একদল বনধ সমর্থক হলদিয়া মেছেদা রাজ্য সড়কের চৈতন্যপুরে রাস্তায় অবরোধ করেন
বনধের খবরে রাস্তায় বিশেষ যাত্রীবাহী বাস নামেনি। হলদিয়া মেছেদা দিঘা কোনও ডিপো থেকেই কোনও বেসরকারি বাসকে পথে নামতে দেখা যায়নি। তবে সামান্য কিছু সরকারি বাস হলদিয়া ও দিঘা ডিপো থেকে ছাড়লেও সেভাবে যাত্রীরা নজরে আসেনি।
তবে বনধে সম্পূর্ণ সচল ছিল হলদিয়া শিল্পাঞ্চল। বিক্ষোভকারীদের কাউকেই হলদিয়ার ময়দানে দেখা যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাজারঘাট খোলা ছিল। অফিস কাছারিতেও কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল। এমনকি দিঘাতেও পরিস্থিতি মোটের উপর স্বভাবিক ছিল। তবে যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস বন্ধ থাকায় পর্যটকদের আনাগোনা কিছুটা কম ছিল।