সম্পর্কে কাছের মানুষ। তবে ভোটের ময়দানে যুযুধান। মা ভানুমতি রানা তৃণমূল প্রার্থী। আর মেয়ে মমতা রানা মাহাতো কুড়মি সমাজের নির্দল প্রার্থী। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের চাঁদাবিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পুখুরিয়া বুথে নজর কাড়ল এই মা ও মেয়ের লড়াই।
নয়াগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা পুখুরিয়া। মোট ভোটার ১০৪৮। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচশোর বেশি কুড়মি সমাজের লোকজন। তৃণমূলের তরফে এ বার প্রথম ভোটের ময়দানে নেমেছেন ভানুমতি। ভানুমতির এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। তিনি পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে কুড়মি সমাজের নির্দল প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই মেয়ে মমতা। বছর সাতেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন মমতা। বৈবাহিক সূত্রেই মমতা এখন কুড়মি সমাজের বধূ। তৃণমূলকে জব্দ করতেই এই চাল চেয়েছে কুড়মি সমাজ। স্নাতক উত্তীর্ণ মমতাকে প্রার্থী করেছে মায়ের বিরুদ্ধে।
গোড়ায় মনস্থির করতে উঠতে পারেনি মমতা। বাবা রঞ্জিত রানার কাছে গিয়েছিলেন পরামর্শ নিতে। রঞ্জিত জানান, ‘সমাজ থেকে যখন দাঁড়াতে বলেছে, দাঁড়িয়ে যাও।’ এর পরই মমতা প্রার্থী হয়ে যান মায়ের বিরুদ্ধে। তবে সম্পর্কে কিন্তু চিড় ধরেনি। ভানুমতি বলছেন, ‘‘এমন কোনও দিন নেই যে মেয়ে আমার কাছে এসে খায়নি।’’ ভোটের দিনও সকালে সেই রুটিনে ছেদ পড়েনি। মমতা বলেন, "সমাজ চেয়েছিল তাই দাঁড়িয়েছি। আমি তো ওই সমাজের বৌ।" আর ভানুমতি মানছেন, "এই বুথে কুড়মি সমাজের ভোট বেশি। তাই মেয়ে আমার থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে।" মমতার বাবা রঞ্জিত রানা জুড়ছেন, "তাপ-উত্তাপ যা রয়েছে ভোটের মাঠে। কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কে তার কোনও ছাপ পড়েনি।’’