নববর্ষে ত্রাণ বিলি তৃণমূল (বাঁদিকে) এবং বিজেপির (ডানদিকে)। মঙ্গলবার কাঁথিতে। নিজস্ব চিত্র
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্রকতা কারণে নববর্ষ পালনে উদ্যোগ নেই বললেই চলে। করোনার জন্য গত এক মাস ধরে সেরকম কোনও কর্মসূচি নিতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলি। লকডাউনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই দুঃস্থদের পাশে নানা ভাবে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর। নতুন বছরেও সেভাবেই মানুষের পাশে থেকে জনসংযোগের কর্মসূচি নিয়েছে শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
মঙ্গলবার নববর্ষ উপলক্ষে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে শাসক দল তৃণমূল। লকডাউনে কাঁথি শহরে গৃহবন্দি রয়েছেন, এরকম কয়েক হাজার বাসিন্দার হাতে এ দিন খাবার তুলে দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে। মূলত পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে কাঁথি শহরের প্রভাত কুমার কলেজ-সহ পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুপুরে এই খাবার বিতরণ করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিজনদেরও খাওয়ানো হয়। তৃণমূলের পাশাপাশি বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন জনসংযোগ রক্ষায় পিছিয়ে ছিল গেরুয়া শিবিরও। এদিন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় ভাবে গরিবদের মাস্ক বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি খেজুরি, ভূপতিনগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় চাল, আলু-সহ ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় দরিদ্রদের হাতে।
নববর্ষে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জনসংযোগের সুযোগ হাতছাড়া করেনি সিপিএমও। এদিন দলের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি-সহ সিপিএম নেতৃত্ব বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং ফেসবুকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ রক্ষা করেন। এমনকী রবীন্দ্রসঙ্গীতও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘লকডাউনে এক মাসের বেশি সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন। তাঁরা কেমন আছেন, কী ভাবে আছেন বছরের প্রথম দিনে তার খোঁজখবর নিতেই এমন উদ্যোগ।’’
যদিও এদিন তাঁদের কর্মসূচীকে ‘জনসংযোগ’ বলতে রাজি নযন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে আমরা প্রথম থেকেই রয়েছি। এলাকা ভিত্তিক মানুষকে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি সাধ্যমত তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।’’