তৃণমূলের ভোটের প্রচারে পতাকা হাতে রাধাশ্যামবাবু (ডানদিক থেকে প্রথম)। দলের সঙ্গে জয়ের আবির মেখে। নিজস্ব চিত্র
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপি’র প্রার্থী। মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিজেপি’র হয়েই। কিন্তু শাসকদল তৃণমূলের ভোটপ্রচারে দেখা মিলছে চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৮ নম্বর আসন বাড় বাজিতপুরের বিজেপি প্রার্থী রাধাশ্যাম দাসের।
গত রবিবার বিকালে হলদিয়ার ব্রজলালচকে মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিলে পা মিলিয়েছেন রাধাশ্যামবাবু। স্থানীয় সূত্রের খবর, মনোনয়নের পরেই ভোল পাল্টে গিয়েছে তাঁর। বাড়ি বাড়ি গিয়েই লিফলেট বিলিও করছেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি’র অভিযোগ, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে রাধাশ্যামবাবুকে ওই কাজ কারানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাধাশ্যামবাবুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারায় সামিল হতে চাই। যেভাবে এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে, তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’ কিন্তু তা হলে ভোটে কেন মনোনয়ন জমা দিলেন? আর দিলেও এখনও তা প্রত্যাহার করেননি কেন? এতে ওই বিজেপি প্রার্থীর জবাব, ‘‘পাড়ার লোকেদের চাপে পড়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। এখন মনে হয়েছে, ওটা আমার ভুল সিদ্ধান্ত।’’ তাঁকে ভোট না দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য লিফলেটও বিলি করছেন রাধাশ্যামবাবু।
‘শত্রু’ রাধাশ্যামবাবুর কাজে উচ্ছ্বসিত সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন মালাকার। তিনি বলেন, ‘‘২০০৩ সাল থেকে আমি এখানের পঞ্চায়েত সদস্য। উনি ব্যক্তিগতভাবে ভোটে দাঁড়াতে চাননি। জোর করে নামানো হয়েছিল। এখন সরে দাঁড়ানোয় খুশি।’’ হলদিয়া ব্লক তৃণমূল নির্বাচনী আহ্বায়ক মানসকুমার দাস বলেন, ‘‘উনি কেন তৃণমূলের প্রচার করছেন, সেটা উনি ভাল বলতে পারবেন। তবে বিরোধীরা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় আগামী দিনে উন্নয়নের আরও দায়িত্ব বাড়ল।’’
এদিকে, বিজেপি প্রার্থীর শাসকদলের হয়ে মিছিলে হাঁটা মেনে নিতে পারছেন না বিজেপি। এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মানসকুমার রায়ের বক্তব্য, ‘‘শাসকেরা যাঁদের চাপ দিয়ে মনোনয়ন তোলাতে পারেনি, তাঁদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এ ধরনের কাজ করাচ্ছে।’’