প্রতীকী ছবি
বছর ঘুরলে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে ভেঙে ফেলা হল দলের মেদিনীপুর শহর জোনাল কমিটি। বদলে দু’টি এরিয়া কমিটি গঠন করা হয়েছে শহরে। শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুরে দলের এক বৈঠক হয়। ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার, জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কীর্তি দে বক্সী প্রমুখ। সেখানেই এই সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস হয়।
দু’টি এরিয়া কমিটির মধ্যে একটি শহর পূর্ব, অন্যটি শহর পশ্চিম। শহর জোনালের সম্পাদক ছিলেন সারদা চক্রবর্তী। জোনাল ও লোকাল কমিটিগুলোর অবলুপ্তি ঘটেছে। শহর পূর্ব এরিয়া কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন সুকুমার আচার্য, শহর পশ্চিম এরিয়া কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন কমল ঘোষ। মেদিনীপুরে সিপিএমের ৬টি লোকাল কমিটি ছিল। এরমধ্যে তিনটি লোকাল কমিটির এলাকা ঢুকে পড়েছে পূর্ব এরিয়া কমিটির মধ্যে। বাকি তিনটি লোকাল কমিটির এলাকা ঢুকেছে পশ্চিম এরিয়া কমিটির মধ্যে।
বছর ঘুরলে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে দলের সংগঠন গোছাতেই কী শহরে তড়িঘড়ি এই পুনর্বিন্যাস? ওই নেতার বক্তব্য, “এখানে তড়িঘড়ির কোনও ব্যাপার নেই। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোনাল কমিটির অবলুপ্তি ঘটাতেই হত। মেদিনীপুরে হল। জেলার অন্য এলাকাতেও এ ভাবে এরিয়া কমিটি হবে।” এক-একটি এরিয়া কমিটিতে ১৭ জন রয়েছেন। সবস্তরের প্রতিনিধিত্ব রাখার চেষ্টা হয়েছে। যুব প্রতিনিধি রয়েছেন। মহিলা প্রতিনিধিও রয়েছেন।
শহরে সিপিএমের ৪৬টি শাখা কমিটি রয়েছে। এরমধ্যে ২২টি শাখা ঢুকে পড়েছে পূর্ব এরিয়া কমিটির মধ্যে। বাকি ২৪টি শাখা ঢুকে পড়েছে পশ্চিম এরিয়া কমিটির মধ্যে। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, এই সময়ের মধ্যে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মানুষের মনে ক্ষোভ জমেছে। এমনকী ওয়ার্ড স্তরে উন্নয়নের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েও শাসক দলের নিচুতলার কর্মীরা দলের একাংশের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। এরিয়া কমিটি গঠনে নিচুতলার মতামতকে কিছুটা
হলেও গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নেতৃত্ব।