পুরনো নোট রাখা নিয়ে সমস্যা দেখা দিল পশ্চিম মেদিনীপুরে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই বাতিল পাঁচশো-হাজারের সব নোট চেস্টে রাখার কথা। কিন্তু যে পরিমাণ বাতিল নোট জমা পড়েছে, তার তুলনায় জেলায় চেস্টের সংখ্যা কম। আবার যে সব ব্যাঙ্কে চেস্ট রয়েছে, সেখানে অত বিপুল পরিমাণ টাকা গোনার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এই অবস্থায় জেলার ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরগুলি পড়েছে চরম বিপাকে।
মেদিনীপুর জেলা মুখ্য ডাকঘর আধিকারিক বিকাশকান্তি মিশ্র বলেন, “আমার তো স্টেট ব্যাঙ্কে পুরনো নোট জমা দেওয়ার কথা। ওই ব্যাঙ্কের জায়গা ও পরিকাঠামো নেই বলে পুরনো জমা নিতে পারেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” স্টেট ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার শক্তিকুমার ঘোষ বলেন, “আমাদের ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখার পুরনো নোট জমা নিতে হচ্ছে। যা পরিকাঠামো তাতে বেশি নোট জমা নেওয়া সম্ভব নয়।”
শুক্রবার সন্ধেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, জমা পড়া পুরনো সব নোট চেস্টে রাখতে হবে। তারপরই বেড়েছে সমস্যা।
ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, স্টেট ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর শাখায় দিনে বড় জোর ১০ কোটি টাকার (হাজার টাকার নোটে) নোট গোনার পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্কের এক একটি শাখাতেই তো ১০০ কোটি বা তারও বেশি পুরনো নোট জমা পড়েছে। ছোটখাটো ব্যাঙ্কের শাখাতেই পরিমাণটা ২-৫ কোটি। ফলে, এই বিপুল পরিমাণ বাতিল নোট গোনা ও রাখাই এখন সমস্যা।