রোগী মৃত, ঝাড়গ্রামে আক্রান্ত চিকিৎসক

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে ‘সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম’ নামে চিকিত্সকদের সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৭ ০০:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসককে মারধরের হুমকির অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে।

Advertisement

অভিযোগ, সিসিইউতে চিকিৎসাধীন মিঠু সিংহ (৪২) র মৃত্যুর পরেই চিকিত্সক শুভঙ্কর গায়েনকে মারধরের হুমকি দেন রোগীর পরিবার ও পড়শিরা। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভঙ্করবাবু। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে ‘সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম’ নামে চিকিত্সকদের সংগঠন। পাল্টা চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শুভঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার ছেলে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত শনিবার সন্ধ্যায় ডায়ালিসিসের জন্য সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয় মিঠুদেবীকে। রবিবার রাত দু’টো নাগাদ তিনি মারা গেলে চিকিৎসকের কাছে মৃত্যুর কারণ জানতে চান তাঁর পরিবার। এ নিয়েই হাসপাতাল চত্বরে গোলমাল বাধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ডাকেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে হাসপাতাল সুপার এবং সিএমওএইচ-এর কাছে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন শুভঙ্করবাবু। মঙ্গলবার হাসপাতাল সুপারের কাছে মায়ের চিকিত্সায় গাফিলতি ও শুভঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন মিঠুদেবীর ছেলে শুভ্রদীপ সিংহ।

Advertisement

মিঠুদেবীর ভাগ্নে সুরজিৎ দাসের অভিযোগ, সিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হলেও মামীর ডায়ালিসিস হয়নি। পরে মৃত্যুর কারণ জানতে চাওয়া হলে চিকিত্সক দুর্ব্যবহার করেন। রবিবার সকালে মৃতদেহ নিতে যাওয়ার সময়েও তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ওই চিকিৎসক। শুভঙ্করবাবুর দাবি, ‘‘রোগিণীকে এমন অবস্থায় আনা হয়েছিল, যখন আর কিছুই করার ছিল না। মিঠুদেবীর অবস্থা যে সঙ্কটজনক সে কথা তাঁর পরিবারকেও জানানো হয়েছিল।” তা সত্ত্বেও মিঠুদেবী মারা গেলে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাঁর বাড়ির লোকজন মারমুখী হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ শুভঙ্করবাবুর।

হাসপাতাল সুপার মলয় আদক বলেন, ‘‘শুভঙ্করবাবু কর্তব্যপরায়ণ চিকিত্সক। তবে গাফিলতির অভিযোগ যখন উঠেছে, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’’ ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ অশ্বিনী মাঝি বলেন, “এ ভাবে চিকিত্সককে হুমকি দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হবে।” ‘সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম’-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাসের কথায়, “এ ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য হাসপাতাল সুপার ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement