হয় ‘নো ক্যাশ’ বোর্ড ঝুলছে নয়তো ঝাঁপ বন্ধ এটিএমের। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
কোথাও লেখা ‘আউট অফ অর্ডার’ আবার কোথাও ‘নো ক্যাশ’। পুরনো ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণার পর প্রায় দু’মাস পেরোতে চলল, যদিও রেলশহরের অধিকাংশ এটিএমের এখনও এমনই হাল।
খ়ড়্গপুর শহরের অনেক এটিএমে টাকা না মেলায় বিপাকে পড়ছেন স্থানীয়রা। দু’একটি এটিএমে দু’হাজার টাকার নোট পাওয়া গেলেও ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট অমিল বলে অভিযোগ। খুচরো আকালে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
খুচরোর আকালের জন্য দিন কয়েক আগে নিজের জরুরি চিঠি ক্যুরিয়ার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন শহরের বাসিন্দা অশোক রায়। ক্যুরিয়ার সংস্থা তাঁর থেকে ৪৬০ টাকা চায়। অশোকবাবু দু’হাজার টাকার নোট ধরাতেই ক্যুরিয়ার সংস্থার কর্মী বলেন, খুচরো দিতে হবে। কাছে আর খুচরো টাকা না থাকায় অশোকবাবু স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)-য়ের এটিএমে যান। অভিযোগ, সেখানে টাকা না মেলায় তিনি খড়্গপুরের আরও আটটি এসবিআই এটিএমে যান। অবশেষে অন্য একটি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে অশোকবাবু ৫০০ টাকা তোলেন। অশোকবাবু বলছিলেন, “এসবিআই এটিএমেরও এমন হাল হবে ভাবতে পারছি না। ৩১ ডিসেম্বরের পর ভেবেছিলাম খুচরোর সমস্যা মিটবে। কিন্তু কোথায় কী! এ তো আরও খারাপ অবস্থা।”
একইভাবে, শহরের বাসিন্দা স্বদেশ দাস বলেন, “একে খুচরোর সঙ্কট, তার ওপর এটিএমে টাকাই পাওয়া যাচ্ছে না। অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা না থাকায় অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে যেতে হচ্ছে। অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে তিনবারের বেশি টাকা তুললেও টাকা কাটবে। এ ভাবে কী করে চলবে জানিনা।”
এ বিষয়ে এসবিআইয়ের রিজিওনাল ম্যানেজার (খড়্গপুর) মনমোহন রথ বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও আমাদের পাঁচশো টাকার নোট দিচ্ছে না। ফলে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচশো টাকার নোট মিলবে বলে জানা গিয়েছে। তারপর এটিএমগুলি সচল হবে বলে আশা করছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এটিএমে দু’হাজার টাকার নোট থাকার কথা। এটিএম নো ক্যাশ থাকছে কেন দেখছি।”