ফাইল চিত্র।
উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা এখনও হয়নি। তার আগেই রেলশহরে ক্রমাগত চড়ছে রাজনীতির পারদ। ফের বিজেপির এক কর্মীকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে খড়্গপুরের নিউ সেটেলমেন্টে রেলের ছাপাখানা সংলগ্ন এলাকা থেকে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবককে ধরা হয়। ধৃতের নাম সুশান্ত বেহেরা ওরফে লিপ্পু। বাড়ি নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায়। সে এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। তদন্তকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল ওই যুবক। তার থেকে একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
বিজেপির দাবি, পুলিশ তৃণমূলের কথায় তাদের কর্মীকে ফাঁসিয়েছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “শহরে দুষ্কর্ম কমাতে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। তাই অনেক দুষ্কৃতী গ্রেফতার হচ্ছে। ধৃতেরা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত সেটা দেখা হচ্ছে না।’’
খড়্গপুরের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংসদ হয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে উপনির্বাচন আসন্ন। তার আগে গত ১৫ দিনে শহরে তিনটি গুলি চলার অভিযোগ সামনে এসেছে। সবকটি ক্ষেত্রেই মূল অভিযুক্তেরা অধরা। দিন কয়েক আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন যে উপনির্বাচনে জিততে তৃণমূল মাফিয়াদের মদত দিচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে আবার একই অভিযোগ করে তৃণমূল। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মাঝে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সুনীল ইয়াণ্ডা নামে একজনকে ধরে পুলিশ জানায়, ধৃত ব্যক্তি বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’। তারপরে ফের এই গ্রেফতার।
ধৃতকে তাঁদের দলের কর্মী বলে মেনে নিয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্যের দাবি, “আমি যতটুকু জানি, শুক্রবার রাতে সুশান্ত খড়্গপুর টাউন থানার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন পুলিশ তাকে ভিতরে ডেকে নিয়ে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ধরিয়ে গ্রেফতার করেছে।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির পাল্টা, “খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষ কোনও কাজ করতে পারেনি। তাই এখন মাফিয়া দিয়ে দু’একটি গুলি চালিয়ে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে। মাফিয়ারা তো বিজেপির সম্পদ।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে অজিতের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ আইন অনুযায়ী কাজ করেছে।”