প্রতীকী ছবি
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হল অ্যান্টিবডি টেস্ট। দফতরের দাবি, স্থানীয় উদ্যোগে এই টেস্ট জেলাগুলির মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরেই প্রথম হচ্ছে।
অ্যান্টিবডি টেস্টের জন্য ক্লাস্টার হিসেবে আপাতত জেলার সংক্রমণপ্রবণ ৩০টি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, ‘‘করোনার মোকাবিলায় জেলাবাসীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না, হলে কতটা, সে সব জানতেই এই টেস্ট।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল জানান, নির্দিষ্ট ওই এলাকাগুলি (ক্লাস্টার) থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান পার্থসারথি শতপথী জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে সমীক্ষা হচ্ছে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলে সেরেলোজিক্যাল সার্ভে।
জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, ‘‘অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলে অসুখ কতটা ছড়িয়েছে, সেই ধারণা পাওয়া যাবে। কতজন রোগী উপসর্গহীন জানা যাবে। রোগ ছড়িয়ে পড়ার গতিপ্রকৃতিও অনেকটা বোঝা যাবে।’’
দেখা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৩১টি গ্রাম এবং পাড়া সংক্রমণপ্রবণ। এরই মধ্যে থেকেই ৩০টি ক্লাস্টার বাছা হয়েছে। খড়্গপুর শহরে যেমন ৭টি ক্লাস্টার (৪,৫,১০,১৯,২২,২৬ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ড)। এখানে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংখ্যা ১৫,০৪৪। এখানে ৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দাসপুর- ১ ব্লকে ৫টি ক্লাস্টার— চককৃষ্ণবাটী, হরিরামপুর, মজলিসপুর, রাজনগর এবং সুজানগর। সুজানগরে জনসংখ্যা ১,৬৫৮। এখানকার ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রতিটি ক্লাস্টার থেকে গড়ে ১৫-২০ জনের রক্তের নমুনা নেওয়া হবে। সেই হিসেবে সমীক্ষার প্রথম পর্যায়ে ৪৫০-৫০০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। আগামী তিন মাস ধরে জেলায় এই সমীক্ষা চলবে।