সিবিআই তদন্তের দাবি দিলীপ ঘোষের। — ফাইল চিত্র
ছাত্রনেতা আনিস খান খুনে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, সিট কোনও বিষয় ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার জন্য গঠন করা হয়। তাই দিলীপের পরামর্শ, নিজেদের ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করতে সরকারের উচিত সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো।
বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে দিলীপ আনিসকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। তাঁর কথায়, ‘‘সিট তো ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যায়। কোনও সমাধান করেছে কি? সব গুলিয়ে দেওয়ার জন্য যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই কারও বিশ্বাস নেই এখানকার পুলিশের উপর, সিটের উপর। সবাই সিবিআই তদন্তের কথা বলছেন।’’ দিলীপ আরও জানিয়েছেন, তাদের কোনও ‘পাপ’ নেই, এটা প্রমাণ করতে সরকারের উচিত সিবিআই তদন্ত চাওয়া। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সরকারের কোনও হাত নেই এই চক্রান্তের মধ্যে, তা হলে তাদেরও সিবিআই তদন্ত চাওয়া উচিত। তা যদি না করে ধরে নিতে হবে তৃণমূল এবং সরকার করেছে এটা।’’
দিলীপের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি সুজয় হাজরার বক্তব্য, ‘‘সিবিআই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছিল তা কি ভুলে গিয়েছেন বিজেপি নেতারা? মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখুন। সিট গঠন করেছেন। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা না করে সহযোগিতা করা উচিত।’’ দিলীপ যখন সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন ঘটনাচক্রে তার কিছু পরেই শুনানি চলাকালীন আনিস মামলার তদন্তে সিটের উপরই আস্থা রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি আনিসের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। আনিসের পরিবারের থেকে তাঁর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে হায়দরাবাদে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে হাই কোর্ট।
নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য সিবিআই তদন্ত চাওয়া উচিৎ। রাজ্য সরকারকে এমনই পরামর্শ দিলেন বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার খড়গপুর শহরে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে দিলীপ বলেন, "সিট তো ধামা চাপা দেওয়ার জন্য যায়। কোনও দিন সমাধান করেছি কি, সব গুলিয়ে দেওয়ার জন্য যাচ্ছে। তাই কারও বিশ্বাস নেই। সবাই সিবিআই তদন্তের কথা বলছে, সরকার চাক যে তার মধ্যে কোন পাপ নেই। সরকারের কোন হাত নেই ওই চক্রান্তের মধ্যে। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য সিবিআই তদন্ত চাওয়া উচিৎ। না করলে ধরে হবে তৃণমূল পার্টি আর সরকার করেছে।" আনিস হত্যাকাণ্ডে দু’জন গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘দু’জন সাধারণ পুলিশ, সিভিককে বলি দিয়ে চাপা দেওয়া যাবে না ওটা। পুলিশ সুপারকে কেন ডাকা হচ্ছে না? কেন সাসপেন্ড করা হচ্ছে না? আগে উপর থেকে করা হোক, সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু হোক। যারা প্রভাবিত করবে তারা পদে রয়েছে। আগে ওদের সাসপেন্ড করা হোক। কোন পুলিশ মেরেছে সমস্ত তথ্য সামনে আসা উচিৎ।’’