ধৃত সিআরপিএফ জওয়ান। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে এক সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করল বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং তফসিলি জাতি-উপজাতি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃত জওয়ান নিমিষ কুমারকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত জওয়ানকে সাসপেন্ড করেছেন সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই জওয়ানকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ অভিযুক্তের আইনজীবী কৌশিক সিনহা বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ফের জামিনের আবেদন করব।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে মাকড়ভুলা গ্রামের ওই আদিবাসী মহিলা ওদলচুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান প্রসব করেন। বুধবার দুপুরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ান। অভিযোগ, সে সময় তিনি মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে শ্লীলতাহানি করেন। মহিলার চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। প্রাণ বাঁচাতে ওই জওয়ান লুকিয়ে পড়েন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শৌচালয়ে। রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ।
পুলিশকে ওই জওয়ান জানিয়েছেন, তিনি বুঝতে পারেননি ওটি কোন ওয়ার্ড। তা ছাড়া নিজেও চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল সেখানে। ওই মহিলার সঙ্গে কোন খারাপ আচরণ করেননি জানিয়ে নিমিষের দাবি, তাঁকে মারধর করা হয়েছে।