জমি জটে আপাতত থমকে রয়েছে দাসপুরের সোনার হাব প্রকল্পের কাজ। গ্রামবাসীদের ব্যবহৃত জমিতেই ওই হাব গড়ে ওঠা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। হাই কোর্টের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরী পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। মঙ্গলবার জেলাশাসক -সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা সোনার হাব প্রকল্প এলাকায় যান। সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। কথা বলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গেও।
কয়েকমাস আগেই দাসপুর-২ ব্লকের ফরিদপুরে সরকারি উদ্যোগে ওই সোনার হাব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ভবন নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছিল। পুরো এলাকা পাঁচিল দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এই পরিস্থিতিতে জমি জটে নির্মীয়মাণ সেই প্রকল্পের কাজ এখন বন্ধ।জানা গিয়েছে, ফরিদপুর মৌজায় যে জমিতে ওই হাব তৈরি হচ্ছে, প্রথম থেকেই সেই জমি ব্যবহার নিয়েই আপত্তি ছিল গ্রামবাসীদের। খাতায় কলমে ওই জমির চরিত্র শ্মশান। সরকারি ওই জমির একটা অংশ গ্রামবাসীরা শ্মশান হিসাবে ব্যবহার করেন। তা ছাড়া খেলার মাঠ হিসাবেও ব্যবহার হয় জমির একাংশ। গ্রামের বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয় সেই জমিতে। অর্থাৎ মোট এক একর আশি শতক জমির একটা বড় অংশ গ্রামবাসীরা ব্যবহার করছেন বলে খবর। ব্যবহৃত জমি ছেড়ে বাকি অংশে হাব তৈরির দাবি ওঠে গ্রামবাসীদের তরফে। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও জানান তাঁরা। গ্রামবাসীদের আপত্তি সত্ত্বেও ওই জমিতেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে। সম্প্রতি গ্রামবাসীদের একাংশ সমস্যার সুরাহা পেতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীদের দাবি খতিয়ে দেখে তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলা শাসককে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। এরপরই থমকে যায় কাজ।
হাই কোর্টের নির্দেশের পরই কাজ শুরু করেন জেলা শাসক। দিন কয়েক আগে প্রত্যেক আবেদনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার এলাকায় এসে জমি পরিদর্শন করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এ দিন ফরিদপুরে ওই এলাকায় যান জেলা শিল্প দফতরের জেনারেল ম্যানেজার শুভেন্দু বিশ্বাস, দাসপুর-২ বিডিও অনিবার্ণ সাহু সহ অনান্য আধিকারিকরা ।কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। জেলা শিল্প কেন্দ্রের ম্যানেজার শুভেন্দু বলেন, “মঙ্গলবার নির্মীয়মাণ এলাকায় গিয়ে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জেলা শাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে।”