Paschim Midnapore

কর্ণগড়ে ক্ষত্রিয় ইতিহাস তুলে ধরার দাবি

অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের তরফে তন্ময় সিংহ, সন্দীপ সিংহ এবং শুভাশিস সিংহ স্মারকলিপি জমা দেন। তাতে এই গড়ের রাজা এবং সব বীর রাজপুত ক্ষত্রিয় যোদ্ধাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে অনুরোধ করেন তাঁরা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২১ ২১:৫৯
Share:

কর্ণগড়ে ধ্বংসাবশেষ। নিজস্ব চিত্র।

পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের রানি শিরোমনি কর্ণগড় মন্দির ও সংলগ্ন গড় এলাকাকে। সেই কাজে এ বার কর্ণগড়ের ইতিহাস যাতে আরও বেশি করে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করল অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজ। বৃহস্পতিবার সংগঠনের তরফে শালবনির বিডিও-র কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। নতুন গড়ে ওঠা কটেজ এবং পুকুর যাতে পূর্বতন রাজা-রানিদের নামে করা হয় সেই আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের তরফে তন্ময় সিংহ, সন্দীপ সিংহ এবং শুভাশিস সিংহ স্মারকলিপি জমা দেন। তাতে এই গড়ের রাজা এবং সব বীর রাজপুত ক্ষত্রিয় যোদ্ধাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে অনুরোধ করেন তাঁরা।

ইতিহাস উল্লেখ করে সন্দীপ বলেন, ‘‘কর্ণগড়ে রানি শিরোমণির ভূমিকাকে নতুন করে মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে এটা ক্ষত্রিয় সমাজের কাছে গর্বের। রানি শিরোমনি স্বর্গীয় রাজা অজিত সিংহের দ্বিতীয় স্ত্রী। যিনি তাঁর সেনা ও স্থানীয়দের নেতৃত্ব দিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ইতিহাসে যা ‘চুয়াড় বিদ্রোহ’ নামে খ্যাত।’’

Advertisement

১৫৬৮ সালে রাজা লক্ষ্মণ সিংহ কর্ণগড় গড়ের প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর পরে আরও ৬ রাজা ১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। শেষ রাজা অজিত সিংহের কোনও পুত্র ছিল না। চুয়াড় বিদ্রোহের আগে পর্যন্ত অজিত সিংহের দ্বিতীয় স্ত্রী রানি শিরোমনি ১৮১২ সাল পর্যন্ত এই গড় রক্ষা করেন।

এই গড়ের নামকরণ প্রথম রাজা লক্ষ্মণের নামে করার আবেদন করেছে অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজ। গড়ের নবনির্মিত কটেজগুলি বাকি ৫ রাজা শ্যাম সিংহ, ছটু রায়, রঘুনাথ রায়, রাম সিংহ, যশোবন্ত সিংহ এবং অজিত সিংহের নামে করার দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মূল কটেজটি রানি শিরোমনির নামে এবং গড়ের পদ্মপুকুরটি রাজার প্রথম স্ত্রীর নামে করার দাবিও জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement