—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে বীরসিংহ গ্রামের ক্ষোভ সামলাতে ইতিমধ্যেই নাজেহাল অবস্থা জেলা প্রশাসনের। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সভার ১০ দিন আগে বরদা চৌকান গ্রামে সভা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই এলাকাটি বীরসিংহ পঞ্চায়েতের মধ্যেই পড়ে। ১৬ সেপ্টেম্বর হবে সেই সভা। ওই দিন দাসপুরের নাড়াজোল ও রামজীবনপুরেও সভা করবেন তিনি। ঘটনাচক্রে রামজীবনপুর পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে ওই পুরসভায় বিজেপি এখন সংখ্যাঘরিষ্ঠ।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে মমতার বীরসিংহ গ্রামে যাওয়ার কথা। তার প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। বীরসিংহবাসীর চাহিদা ও সমস্যা শুনতে সেখানে জন প্রতিবিধান শিবির হয়েছে। গ্রামে ঢালাই রাস্তা হচ্ছে। স্থানীয় লাইব্রেরির সংস্কার শুরু হয়েছে। বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির লাগোয়া এলাকায় পথবাতি বসানোর প্রাথমিক কাজ চলছে। তার আগে একই এলাকায় দিলীপ ঘোষের সভার দিন ঠিক হওয়ায় তৃণমূলের অন্দরের তৎপরতা বেড়েছে। তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির দাবি, “বিজেপিকে নিয়ে তৃণমূল মোটেই ভাবিত নয়। ঘাটালে তৃণমূলের সংগঠন যথেষ্ট শক্ত।’’
লোকসভা ভোটের পরে ঘাটালের অন্য এলাকার মতোই বীরসিংহ গ্রামেও শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। মাস খানেক আগে এখানে পদ্ম পতাকা খুলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তারপর ৫ অগস্ট সেখানে সভা করতে আসার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তবে অরুণ জেটলির মৃত্যুর জন্য সেই সভা বাতিল হয়েছিল। সেই সভাই হবে এ বার।
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “১৬ সেপ্টেম্বর দিলীপ ঘোষ ঘাটাল-সহ তিনটি সভা করবেন। তৃণমূলের সন্ত্রাস, হুমকি, মারধর ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদেই সভা হবে।”