দলের সাধারণ সভা। মুখ্য বক্তা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। দলের কর্মীদের বাইরে আরও কারও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। নিয়ম ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কিনা দেখতে ত্রিস্তরীয় নজরদারিও ছিল। তা সত্ত্বেও রবিবার মেদিনীপুরের ওই সভায় সূর্যবাবুর বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ দিয়েছেন দলেরই এক কর্মী। সভা শেষে সে কথা জানাজানি হতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমে।
আপাতত ওই কর্মীকে চিহ্নিত করে ভর্ৎসনা করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। ফেসবুক থেকে ওই লাইভ ভিডিওটি ডিলিট করা হয়েছে। নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আলোচনার ভিত্তিতে পরে এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে পারে দল। গোটা ঘটনা স্বীকার করে সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় মানছেন, “দলের ওই কর্মীকে সতর্ক করা হয়েছে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না।’’ তরুণবাবুর আরও সংযোজন, “সভার পরেই বিষয়টি জানতে পারি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই কর্মী তরুণ। ওকে জানানো হয়েছে, দলে শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রবণতাকে মেনে নেওয়া যায় না। ও জানিয়েছে, এই ভুল আর হবে না।’’
রবিবার মেদিনীপুর শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জেলা সিপিএমের সাধারণ সভায় সূর্যবাবুর পাশাপাশি ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার, দলের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় প্রমুখ। আগামী দিনে দলের কাজকর্ম কী হবে, কী ভাবে সংগঠন চলবে, সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। সিপিএমের মতো অনুশাসনের দলে এমন সাংগঠনিক সভায় কর্মীদের বাইরে কারও প্রবেশাধিকার থাকে না। দলের রণকৌশল যাতে কেউ জানতে না পারে তাই এই কড়াকড়ি।
সেই মতো রবিবারের সভায় নজরদারির দায়িত্ব বর্তেছিল দলের মেদিনীপুর শহর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুকুমার আচার্যের উপর। কিন্তু বজ্র আঁটুনিই সার। সিপিএমের জেলা কমিটির এক নেতার কথায়, “দলের সাংগঠনিক সভা ফেসবুকে লাইভ হবে? তাও যেখানে মুখ্য বক্তা খোদ দলের রাজ্য সম্পাদক? কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে এ বার ভাবার সময় এসেছে!”