বিতর্ক বেধেছিল আগেই। এ বার সরকারি অনুষ্ঠানে দলের স্থানীয় বিধায়ককে না ডাকা নিয়ে রীতিমতো সরব হলেন কংগ্রেস কর্মীরা। রবিবার বিকেলে সবংয়ে ব্লক কংগ্রেসের বিশ্লেষণী সাধারণ সভা ছিল। সেখানেই স্থানীয় বুড়ালে পঞ্চায়েতের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়াকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলীয় কর্মীরা।
সবংয়ের মোহাড়, বুড়াল, বলপাই, দশগ্রাম, ভেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস কর্মী ও পঞ্চায়েতের কাজের বিশ্লেষণ করতেই এ দিনের সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মানসবাবু, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পণ্ডা প্রমুখ। কংগ্রেস কর্মীরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, একশো দিনের কাজ, পঞ্চায়েত শংসাপত্র-সহ বিভিন্ন কাজে তৃণমূলের দলবাজি চলছে। কংগ্রেস কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। মানসবাবুর কথায়, ‘‘তৃণমূলের কিছু প্রধানের ইচ্ছে থাকলেও তৃণমূলের লুটেরা বাহিনী দলবাজি করছে। কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কাজ করতে দিচ্ছে না। বিডিও দলবাজিতে মদত দিচ্ছেন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী ত্রাণ দিতে এসেছিলেন। সেখানে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে বসিয়ে নিজেদের লোকেদের শুধু ত্রাণ দিয়ে গেলেন। এটা নিন্দনীয়।’’
আজ, সোমবার পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সবংয়ের বুড়ালে পঞ্চায়েতের নব-নির্মিত ভবন উদ্বোধনের কথা। ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে অতিথি হিসেবে জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের নাম থাকলেও স্থানীয় বিধায়ক মানসবাবুর নাম নেই। মানসবাবু বলেন, ‘‘এমন ঘটনা আমি ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দেখিনি। মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেন। আর সবংয়ের এক তৃণমূলের নেতা বলেছেন আমি শত্রু। তাই আমাকে ডাকেনি। এতে গণতন্ত্র অপমানিত হচ্ছে।’’