প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নির্মীয়মান রাস্তার কাজ নিম্নমানের হওয়ার অভিযোগে ঠিকাদারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। সোমবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়মা গ্রামের ঘটনা। এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘন্টা পাঁচেক ঠিকাদার সুশান্ত বারিককে ঘেরাও করে রাখেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রের খবর, শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরিয়া থেকে লবকুশ পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার পিচ রাস্তা তৈরির জন্য ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
কাজের বরাত প্রাপ্ত মূল সংস্থাটি রাস্তাটি তৈরির জন্য সুশান্তবাবুর সংস্থাকে সাব কন্ট্রাক্ট দিয়েছে। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে বেশ কিছু গ্রামবাসী তাঁদের উর্বর বহু ফসলি চাষ জমি রাস্তা তৈরির জন্য ছেড়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রাস্তার কাজ শুরু হয়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, রাস্তাটি তৈরির জন্য নিম্নমানের মালমশলা ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও শ্রমিকের কাজে নেওয়া হচ্ছে না। আরও অভিযোগ, রাস্তাটি বোরিয়া থেকে লবকুশ পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার রুট বদল করে কয়মা থেকে লবকুশ পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করছেন। এ ব্যাপারে কয়েক মাস আগে প্রশাসনিক মহলে অভিযোগও করেছিলেন বাসিন্দারা।
এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ ঠিকাদার সুশান্তবাবু কয়মা গ্রামে রাস্তার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁকে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। অবশেষে শালবনি পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য সঞ্জিত মাহাতোর হস্তক্ষেপে ওই ঠিকাদার গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সঞ্জিতবাবু বলেন, “কাজের মান ভাল করার ও এলাকার শ্রমিকদের কাজে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিকেল চারটে নাগাদ রেহাই পান ঠিকাদার।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি অবশ্য গ্রামবাসীদের এই বিক্ষোভের পিছনে ‘অন্য কারণ’ দেখছেন। তাঁর কথায়, “জঙ্গলমহলে উন্নয়ন-কাজে পরিকল্পিতভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ সম্পর্কে আলাপ আলোচনার পথে না গিয়ে যেভাবে গ্রামবাসীরা ঠিকাদারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তা অনভিপ্রেত।” রুট বদলের বিষয়টি নিয়ে অবশ্য সদুত্তর দেননি শৈবালবাবু।