প্রতীকী চিত্র
এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত। তার মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে ফের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাকচা। অভিযোগের তির উঠেছে বিজেপির দিকে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের খিদিরপুর গ্রামে বোমার আওয়াজ শোনা গিয়েছে। গ্রামের একাধিক বাসিন্দার দাবি, পুলিশ এলাকা থেকে ঘুরে যাওয়ার পরেই দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকছে। বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে না বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে গ্রামের একাধিক রাস্তায় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। যার জেরে সারারাত আতঙ্কে কেটেছে বাসিন্দাদের।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সবংয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা দেখে বাড়ি ফেরার সময় বোমায় মৃত্যু হয় বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের খিদিরপুর গ্রামের দীপক মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মীর। শাসণঙ্গল ক দলের লোকজনই খুন করেছে বলে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব অভিযোগ তোলে। তারপর থেকে গোটা এলাকায় অস্থায়ীভাবে পুলিশের পিকেট বসানোর পাশাপাশি পুলিশের টহল চলছে। কিন্তু তার মধ্যেও এমন ঘটনায় অশান্তি ঠেকাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সবং থানায় দীপকের মা সাবিত্রী মণ্ডল যে খুনের অভিযোব দায়ের করেছেন তাতে অভিযুক্ত হিসাবে বাকচার তৃণমূলের ১১ জন স্থানীয় নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ইচ্ছা করে ওই সব তৃণমূল নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা অনেকদিন ধরেই বিজেপির অত্যাচারে ঘরছাড়া। মিথ্যা মামলায় ওদের জড়াচ্ছে বিজেপি। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বিজেপির লোকজনই বোমাবাজি করে।
যদিও বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘আমাদেরই এক কর্মীর বোমায় মৃত্যু হল। আর আমাদের বিরুদ্ধেই বোমাবাজির অভিযোগ হাস্যকর ছাড়া আর কী হতে পারে! ওটা তৃণমূলের কাজ।’’মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজির অভিযোগ অবশ্য মানতে চায়নি পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব বলেন, ‘‘ওই দিন রাতে কোনও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’’