সৌর বিদ্যুতেই চলবে পাখা, জ্বলবে আলো। কয়েকটি স্কুলে আগেই সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এ বার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতেও সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিশু-নারী উন্নয়ন কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্য জানান, প্রথম পর্যায়ে জেলার বিভিন্ন ব্লকের মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি-সহ মোট ১৫২টি কেন্দ্রে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর। চলতি বছরেই এই কাজ হবে।
প্রশাসনিক ও বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় গ্রামীণ ও শহর এলাকা মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। এইসব কেন্দ্রে শিশু ও প্রসূতিদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের পড়ানোর একজন কর্মী রয়েছেন। রান্নার জন্য রয়েছেন একজন সহায়িকা। যদিও গ্রামীণ এলাকায় অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় আলো-পাথা জ্বালাতে সমস্যা বহয় বলে অভিযোগ।
অনেক কেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে শিশুদের কষ্ট হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে আলো জ্বালা এবং পাখা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে সোলার প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রথম ধাপে জেলার মোট ১৫২টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সোলার প্যানেল বসাতে সাহায্য করবে বিদ্যুত দফতরের অচিরাচরিত শক্তি বিভাগ।
জেলা বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির বাড়ির ছাদে বা চত্বরে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা দিয়ে আলো জ্বালানো এবং পাখা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হবে। দ্রুত এই কাজের জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে।