শনিবার কাঁথিতে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারীর ‘গড়’ কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মেগা শো’ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচার শুরু করবে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে তেমনই খবর। আগামী ৩ ডিসেম্বর, শনিবার অভিষেকের সেই সভায় ১ লক্ষ জমায়েতের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে শাসকদল। সে জন্য জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে ধরে নিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল। কাঁথির সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক।
তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেকের সভা নিয়ে প্রথম দিকে তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে ‘বোঝাপড়ার সমস্যা’ দেখা দেয়। সভার স্থান বাছাই নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রথমে সভাস্থল হিসেবে কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে খুঁটিপুজো সারেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মাইতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক উত্তম বারিক প্রমুখেরা। এর পর মঞ্চ বাঁধার কাজও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অখিল গিরি বা তাঁর ছেলে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরিকে দেখা যায়নি।
এর পর আচমকাই ছন্দপতন! ২৩ নভেম্বর নতুন করে সভাস্থল হিসেবে খুঁটিপুজোর আয়োজন করা হয় কাঁথির কলেজ মাঠে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সুপ্রকাশ গিরি-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উড়তেই তড়িঘড়ি অরবিন্দ স্টেডিয়াম থেকে মঞ্চ বাঁধার সামগ্রী দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়। যদিও এর পর থেকে হাতে হাত মিলিয়ে গোটা জেলা জুড়ে অভিষেকের সভার সমর্থনে প্রচার নামতে দেখা গিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে।
অভিষেকের সভায় বড়সড় জমায়েতের লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা অভিষেকের সভায় ১ লক্ষ জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। সে জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি বুথ, পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে জোর কদমে প্রস্তুতিসভা চলছে। ইতিমধ্যে সভার প্রস্তুতি নিয়ে তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের মধ্যে রিভিউ মিটিং হয়েছে। সমর্থকদের আসার জন্য স্থানীয় স্তরে বাস, ম্যাটাডর, ছোট গাড়ি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।’’